শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ভোগান্তিতে রোগীরা

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

বরিশাল অফিস
তিন দফা দাবিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুর ২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এর আগে মেডিসিন ইউনিট ৪-এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান-এর অনৈতিক ও হীন কর্মকান্ডের জন্য ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতি পত্র দেওয়া হয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের নাম উলেস্নখ করে আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সবশেষ ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উলেস্নখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সে সময় তোলা দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। এই বিষয়ে জানতে ডা. মাসুদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হলো- ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা। উলেস্নখ্য, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড়শ' ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন এবং তাদের কর্মবিরতিতে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন রোগীরা।