শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্য উদ্বেগজনক

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০৭
ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। ছবিটি মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকা থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) তথ্যে চলতি মাসে অন্তত ১০ দিন ঢাকার দূষণের মাত্রা ছিল 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' এবং শহরের সবাই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার বর্তমান বায়ুদূষণ নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং একে এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে, নাগরিকদের অন্যতম অধিকার ব্যাহত হতে পারে বলে হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুদূষণ সম্পর্কিত একটি বিচারাধীন রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ ও আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৩ জানুয়ারির নির্দেশাবলি কার্যকর করতে এবং নির্দেশনা মেনে চলার ৩০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমার আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি অপর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজধানীর ভেতরে ও আশপাশে বায়ুদূষণ কমাতে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে ঢাকাসহ পাঁচটি জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা একই রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে গত ১৩ জানুয়ারি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা শহরে অনুমোদিত সীমার বাইরে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী গাড়ি জব্দ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া টায়ার জ্বালানো ও যানবাহনের ব্যাটারি পুনর্ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে