সংসদে অথর্মন্ত্রী

ঋণখেলাপিদের কাছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৯

যাযাদি রিপোটর্
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুন পযর্ন্ত দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮। তাদের কাছে অনাদায়ী অথের্র পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। বুধবার সংসদে পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অথর্মন্ত্রী জানান, খেলাপি ঋণের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকের সংখ্যা ৮৮। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে ১৮ হাজার ৬৬২ কোটি, জনতা ব্যাংকে ১৪ হাজার ৮৪০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ৯ হাজার ২৮৪ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৪ হাজার ৯০১ কোটি, বেসিক ব্যাংকে ৮ হাজার ৫৭৬ কোটি, কৃষি ব্যাংকে ২ হাজার ১৭৮ কোটি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ২ হাজার ৩৩২ কোটি, পূবালী ব্যাংকে ২ হাজার ১১৬ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৫ হাজার ৭৬ কোটি, ইসলামী ব্যাংকে ৩ হাজার ৫২০ কোটি আর প্রাইম ব্যাংকে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে। প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল পঁাচটায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। অথর্মন্ত্রীর দেয়া তালিকা অনুযায়ী শীষর্ ১০০ ঋণখেলাপির মধ্যে রয়েছে ইলিয়াস ব্রাদাসর্, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম, রেমিক্স ফুটওয়ার, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, রুবিয়া ভেজিটেবল ইন্ডাস্ট্রিজ, রাইজিং স্টিল, ঢাকা ট্রেডিং হাউস, বেনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনোয়ারা স্পিনিং, ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্ট, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী নিটওয়্যার, সিদ্দিক ট্রেডাসর্, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার, অললপা কম্পোজিট টাওয়েলস, হল-মাকর্ ফ্যাশন, মুন্নু ফেব্রিকস, ফেয়ার ইয়ানর্ প্রসেসিং, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিকস, সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েলস, মাকর্ ইন্টারন্যাশনাল, সুরুজ মিয়া জুট স্পিনিং মিলস, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম, সালেহ কাপের্ট মিলস, পদ্মা পলি কটন নিট ফেব্রিকস, এস কে স্টিল, হেল্পলাইন রিসোসের্স, এইচ স্টিল রি-রোলিং, অটবি, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস, তাইপে বাংলা ফেব্রিকস, ঢাকা নথর্ পাওয়ার ইউটিলিটি, টি অ্যান্ড ব্রাদাসর্ নিট কম্পোজিট, তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট-২. সিক্স সিজন অ্যাপাটের্মন্ট, ইসলাম ট্রেডিং কনসোটির্য়াম, রহমান স্পিনিং মিলস, জাপান-বিডি সেক প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি, সেমাটসিটি জেনারেল ট্রেডিং, এম কে শিপ বিল্ডাসর্, কটন করপোরেশন, ন্যাশনাল স্টিল, এম বি এম গামের্ন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল, সোনালী জুট মিলস, এক্সপার টেক লিমিটেড, ওয়ালমাটর্ ফ্যাশন, সাদ মুসা ফেব্রিকস, চিটাগং ইস্পাত, অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, হিমালয়া পেপার অ্যান্ড বোডর্ মিলস, আমাদের বাড়ি লি., ইমদাদুল হক ভুইয়া, চৌধুরী টাওয়েল, চৌধুরী লেদার, আথর্ অ্যাগ্রো ফামর্, নদার্নর্ পাওয়ার সলিউশন, ম্যাক শিপ বিল্ডাসর্, দ্য আরব কনট্রাকটরস, ওয়ান ডেনিম মিলস, লিবাটির্ ফ্যাশন ওয়্যার, বিশ্বাস গামের্ন্ট, মাস্টাডর্ ট্রেডিং, হিনদুল ওয়ালী ট্রেডিং, সগির অ্যান্ড ব্রাদাসর্, গেøাব মেটাল কমপ্লেক্স, অরনেট সাভিের্সস, জালাল অ্যান্ড সন্স, করোলা করপোরেশন, সাইদ ফুড, অ্যাপেক্স নিট কম্পোজিট, এস এ অয়েল রিফাইনারি, আলী পেপার মিলস, ড্রেজ বাংলা লিমিটেড, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ডায়িং, অজর্ন কাপের্ট অ্যান্ড জুট, ইন্ট্রাকো সিএনজি, ফরচুন স্টিল, ফাইবার শাইন লিমিটেড, দোয়েল অ্যাপারেলস, জাহিন এন্টারপ্রাইজ, মজিবর রহমান খান, কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল, জয়নাব ট্রেডিং, তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, রিসোসর্ ডেভেলপমেন্টে ফাউন্ডেশন, দ্য ওয়েল টেক্স, ডেলটা সিস্টেম, টেলিবাতার্, এম আর সোয়েটার কম্পোজিট, রেপকো ফামাির্সউটিক্যালস, মাবিয়া শিপ ব্রেকিং, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, নদার্নর্ ডিস্টিলারিজ, নিউ রাখি টেক্সটাইলস, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, শফিস স্টিল, জারিস কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজ ও হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা। নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে অথর্মন্ত্রী বলেন, চলতি অথর্বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশ্বাস ছিল ৩৬১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন এবং অনুদান ১ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এসব সাহায্যের মধ্যে এখন পযর্ন্ত ১৮৭ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮৫ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদান ২ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৭-১৮ সালে বৈদেশিক কল থেকে ৯০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। তবে এই আয় গত নয় বছরের মধ্যে সবির্নম্ন। বৈদেশিক কল থেকে সবাির্ধক ১ হাজার ৭৬২ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে ২০১৩-১৪ সালে। সব মিলিয়ে গত নয় বছরে বৈদেশিক কল থেকে ১২ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।