করোনার 'দ্বিতীয় ঢেউ' মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:১৬

ম যাযাদি রিপোর্ট
জাহিদ মালেক

দেশে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক। দেশে যে কোনো সময় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় তিনি বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালে ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনা রোগী জন্য চিকিৎসাসেবায় বরাদ্দকৃত শয্যা দ্বিগুণ করার পরামর্শ দেন। রোববার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে 'করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই পরামর্শ দেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, 'দ্বিতীয় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রথম কারণ হলো আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি, আমরা মাস্ক পড়ছি না, আমাদের বেশি আত্মবিশ্বাস হয়ে গেছে। শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখ লাখ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ছে।' তিনি বলেন, এমনিতেই শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগ বালাই বেশি হয়। এ রোগ-বালাইয়ের কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। এগুলোর জন্যও সংক্রমণ বাড়তে পারে। সভায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে প্রথম সংক্রমণ মোকাবিলা করেছেন। কোভিড-১৯, নন-কোভিড ও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করবেন। এ জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নেন। তিনি বলেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যে কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসলে আমরা প্রথম ধাপে পাব। সরকারি হাসপাতালে যদি টিকা দেওয়া হয় তাহলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচাল আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, পৃথিবীতে যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়। বাংলাদেশের মানুষ যদি ভ্যাকসিন পায়। তাহলে অবশ্যই সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। তবে সময় লাগবে। এজন্য দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নুর, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এমএ মতিন খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান ও বিপিএমসির সভাপতি ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।