ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে বোঝার ভুল আছে। মিসরে গিয়ে ভাস্কর্য দেখেছি, সৌদি আরবেও আছে। বাংলাদেশে যারা এটা নিয়ে আলোচনা করছেন, তাদের চিন্তা করতে হবে যে, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। রোববার সচিবালয়ের ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। ফরিদুল হক খান বলেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস নয়। পাকিস্তানে যান, ভারতে যান, সারা বিশ্বে যে কোনো রাষ্ট্রে যান না কেন, সব জায়গায় ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্য যদি মূর্তি হয়, তাহলে টাকার ভেতরে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, আগে যারা ছিলেন তাদের ছবি ছিল, সেগুলো পকেটে নিয়ে তো সবাই ঘুরে বেড়ায়। এ বিষয়গুলো সবাইকে বোঝাতে পারলে একটি সমাধান আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমিতো নতুন এই মন্ত্রণালয়ে, এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করব, ভাবব এবং পরামর্শক্রমে কিভাবে করলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সার্বিক দিক থেকে এ সমস্ত বিষয় যাতে কেউ না করতে পারে, করার সুযোগ না পায়। সবকিছু চিন্তা করে অবশ্যই আমি করব এবং আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। ভাস্কর্য আর মূর্তি যদি আলাদা বিবেচনা করা হয়, তাহলে এর অর্থ কী এমন হতে পারে যে ভাস্কর্য রক্ষা করা যেতে পারে, আর মূর্তি... এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, না না মোটেই না। সনাতন ধর্মের যারা আছেন, তারা তাদের ধর্ম পালন করবেন। এটা নিয়ে তো কোনোদিন কিছু হয়নি। ১৯৯১ সালে হিন্দুত্ববাদীরা যখন ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙল, তখন উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন জানিয়ে ফরিদুল হক বলেন, সে সময় তার এলাকায় সনাতন ধর্মের একটি মূর্তিও তিনি ভাঙতে দেননি। আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন, যার যার ধর্ম পালন করব। আমরা সবাই কম-বেশি জানি, প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু দুষ্ট লোক থাকে, যারা তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সব দুষ্টচক্রকে কঠোরহস্তে দমন করে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের কথা উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা অবশ্যই এগুলোর একটি সমাধানের জন্য যে ধরনের কাজ করা প্রয়োজন, তা আলোচনা সাপেক্ষে করব।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd