গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায় সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনা পরবর্তীতে মানুষের জীবন আচার-আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টি খুবই জোরালো পরিবর্তন এসেছে এবং আসবে। খুবই ভয়ের বিষয় করোনার পরের দরিদ্র কিন্তু মেধাবী এমন শিক্ষার্থীদের কি হবে? তা এখনও আমাদের অজানা। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঝরে পড়ে যেতে পারে। তাই সরকারকে এখনই করোনা-পরবর্তী শিক্ষার ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি ঝরে পড়ার শঙ্কা আছে এমন শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে স্কুল-কলেজে উপস্থিত না হয়েও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা পর্যন্ত হয়েছে। এটা নতুন একটি সম্ভাবনা। এটাকে করোনা পরবর্তীতে অব্যাহত রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অসংখ্য শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনার খরচ জোগায় টিউশনি, খন্ডকালীন চাকরিসহ অন্যান্য সোর্স থেকে। করোনার কারণে সেটিও বন্ধ। এটা দিয়ে শুধু নিজেদের খরচই নয়, কেউ কেউ মা-বাবা বা পরিবারকে সহযোগিতা করে। করোনার থাবায় এই শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সমাজে বিত্তবান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের এ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত। না হলে হয়তো একটি মেধাবী ভবিষ্যৎ এখানে থেমে যাবে।
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd