করোনায় শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের পরামর্শ

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে বিশেষ নজর দিতে হবে

করোনা সংক্রমণের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সর্বস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল হয়েছে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে পরীক্ষা বাতিল করে অটো প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। স্কুল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে হবে শিক্ষার্থী বাছাই। পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচি ও সময়কালও পিছিয়ে যাচ্ছে। এসব সিদ্ধান্ত কতটা সময়োপযোগী এবং ক্ষতি পোষাতে আগামীতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়ে দেশের চারজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদের সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক নূর মোহাম্মদ

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৫

রাশেদা কে চৌধুরী

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায় সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনা পরবর্তীতে মানুষের জীবন আচার-আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়টি খুবই জোরালো পরিবর্তন এসেছে এবং আসবে। খুবই ভয়ের বিষয় করোনার পরের দরিদ্র কিন্তু মেধাবী এমন শিক্ষার্থীদের কি হবে? তা এখনও আমাদের অজানা। ধারণা করা হচ্ছে, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঝরে পড়ে যেতে পারে। তাই সরকারকে এখনই করোনা-পরবর্তী শিক্ষার ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি ঝরে পড়ার শঙ্কা আছে এমন শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে স্কুল-কলেজে উপস্থিত না হয়েও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা পর্যন্ত হয়েছে। এটা নতুন একটি সম্ভাবনা। এটাকে করোনা পরবর্তীতে অব্যাহত রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অসংখ্য শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনার খরচ জোগায় টিউশনি, খন্ডকালীন চাকরিসহ অন্যান্য সোর্স থেকে। করোনার কারণে সেটিও বন্ধ। এটা দিয়ে শুধু নিজেদের খরচই নয়, কেউ কেউ মা-বাবা বা পরিবারকে সহযোগিতা করে। করোনার থাবায় এই শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষায় নয়, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সমাজে বিত্তবান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের এ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত। না হলে হয়তো একটি মেধাবী ভবিষ্যৎ এখানে থেমে যাবে।