শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম ধাপে ৩ কোটি টিকা বিনামূল্যে দেবে সরকার

মাস্ক নিয়ে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার, জেলও হতে পারে
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:২০

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯-এর যে ৩ কোটি ডোজ টিকা সরকার কিনতে যাচ্ছে, তা মানুষকে বিনা মূল্যে দেওয়া হবে। তবে কারা আগে পাবে, তা ঠিক হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী। গতকাল মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতোমধ্যে এই টিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার, সেরা ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এই টিকা কেনার জন্য ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিন কোটি টিকা সরকার কিনবে, কিন্তু মানুষ বিনা মূল্যে পাবে। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯-এর তিন কোটি ডোজ টিকা কিনবে বাংলাদেশ। আনোয়ারুল ইসলা বলেন, এই টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান। প্রথ ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে। টিকার পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী, তথা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষাকর্মী এবং গণপরিবহণকর্মীরা টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। টিকাদান কার্যক্র শুরুর আগে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন ও টিকা প্রদানে জাতীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এখন থেকে মাস্ক না পরলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে। এভাবে দেখা হবে ৭ থেকে ১০ দিন। এরপরও মাস্ক না পরলে জেলের বিধান কার্যকর করা হতে পারে। এর আগে গত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি বলেছিলেন, সপ্তাহখানেক দেখা হবে। তারপর জরিমানা বাড়ানো হবে। এখন সেটাই করতে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে বেশি জরিমানা এবং কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। সভায় বালুমহাল নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্য সদস্যরা এতে অংশ নেন। বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বালুমহালকে একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে নীতিমালা হচ্ছে। জন্য ভূি সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যে যে কেউ ইচ্ছামতো বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। নির্ধারিত ঠিকাদার নির্ধারিত পরিমাণ বালু উত্তোলন করতে পারবেন। কোথায় কোথায় বালুমহাল থাকবে, সেটিও চিহ্নিত করে দেওয়া হবে। শিগগিরই কমিটি প্রতিবেদন দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই বৈঠকে সচিবালয় থেকে যুক্ত হন বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে