শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত

২৪ ঘণ্টায় মৃতু্য ৩৫, শনাক্ত ২৫২৫
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:২০

সারাদেশে গতকাল আরও ২ হাজার ৫২৫ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এদিকে সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন ২ হাজার ৫২৫ জনকে নিয়ে দেশে মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ২ সেপ্টেম্বর। সেদিন ২ হাজার ৫৮২ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আরও ৩৫ জনের মৃতু্য হওয়ায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৪৪ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৫৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথ মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১৮টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৩৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭০১টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১০ বছরের ক ছিল ১ জন। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৫৪৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৩১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৩৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮০২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৪২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩২ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫৬৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৫৭ জন চট্টগ্রা বিভাগের, ৪০৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৯৮ জন খুলনা বিভাগের, ২১৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৬৫ জন সিলেট বিভাগের, ৩০১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬ত স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩ত অবস্থানে। বিশ্বে পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ২৭ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৪ লাখ ৬০ হাজার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে