আজ দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১৯

যাযাদি রিপোর্ট
নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু। ছবিটি বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে তোলা -যাযাদি

আজ শুক্রবার দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের ওপর ৪০তম স্প্যান বসবে। ইতোমধ্যে স্প্যানটিকে দুই পিলারের কাছে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই তে রাখা হয়েছে। স্প্যানটিকে দুই পিয়ারের ওপর স্থায়ীভাবে বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ছয় কিলোমিটার। এরপর বাকি থাকবে একটি মাত্র স্প্যান বসানোর কাজ। পদ্মা সেতুর উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বলেন, বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে। অক্টোবর মাসে চারটি স্প্যান ও নভেম্বর \হমাসেও চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে। ডিসেম্বরে টার্গেট অনুযায়ী দুটি স্প্যান স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকৌশলীদের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৪০তম স্প্যানকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট সময় নিয়ে নির্ধারিত পিয়ারের কাছে পৌঁছে। এরপর শুরু হয় ভাসমান ক্রেনটির নোঙর করার কাজ। প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার দুপুর ২টার আগেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১তম স্প্যান (২-এফ) বসবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে আর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যানটি। এরপর ধাপে ধাপে স্প্যান বসিয়ে এ পর্যন্ত ৩৯টি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর মোট পিলার ৪২টি এবং এতে স্প্যান বসবে ৪১টি। পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্স্ন্যাব ও রোডওয়ে স্স্ন্যাব বসানোর কাজও চলমান আছে। সেতুতে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ২৯১৭টি রোডস্স্ন্যাব। এর মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ২৩৯টির বেশি স্স্ন্যাব। রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেলস্স্ন্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ৮৬০টির বেশি স্স্ন্যাব। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতু। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।