বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
এমসি ছাত্রাবাসের আলোচিত গণধর্ষণ

আট আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুই চার্জশিট

সিলেট অফিস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ৮ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন মামলায়ও আরেকটি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. আবুল কাশেমের আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

পরে দুপুর ১২টায় সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

সেখানে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুহেল রেজা জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের (২৮) কক্ষে তলস্নাশি চালিয়ে একটি পাইপগান, ৪টি রামদা, ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাহপরান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা (নং-২২/২৬/০৯/২০) করা হয়।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মামলার তদন্তে ওই অবৈধ অস্ত্রগুলোর সঙ্গে সাইফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান রনির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (শাহপরান থানায় অভিযোগপত্র নং-১৬৪/২২/১১/২০) দাখিল

\হকরা হয়েছে।

এদিকে, গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ৮ আসামি হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), মিসবাউল ইসলাম রাজন ও আইনুদ্দিন আইনুল। এদের মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তদন্তকালে এ দুজনের সংশ্লিষ্টতাও পায় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত হিসেবে নাম এসেছে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজনের।

ধর্ষণে সহায়তা করেন রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

এই ৮ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাদের ডিএনএ পরীক্ষায়ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। আসামিদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে