নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আশঙ্কা থাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার
\হঢাকার দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দরখাস্ত দেন তারা।
এ আদালতেই বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ৬০ সাক্ষীর ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অনাস্থা আবেদনে বলা হয়, সাক্ষীদের জবানবন্দির পর জেরায় আইনজীবীদের প্রশ্ন হুবহু রেকর্ড হয়নি। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের ৩৩ নম্বর সাক্ষী রকিবুল হাসান বেআইনিভাবে আদালতে পুনরায় সাক্ষ্য দেন।
তাই ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য মামলাটি মুলতবি রাখার দরখাস্ত দিয়ে বেরিয়ে যান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আদালত আসামিপক্ষের এ আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়। এরপর গত ৫ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকতউলস্নাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বরকতউলস্নাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্তদের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত।
মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসামি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিন আসামি। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।