মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দামে স্বস্তি অস্বস্তি ভোজ্যতেলে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

অবশেষে কমতে শুরু করেছে শীতের সব ধরনের সবজির দাম। অন্যদিকে দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে চাল-ডাল, আদাসহ অন্যান্য মুদি পণ্যের। এদিকে এক সপ্তাহ ব্যবধানেও বাড়তি রয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর, কাওরানবাজার, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, মগবাজার এবং খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়, দাম বেড়েছে পাঁচ লিটারের বোতলজাত ভোজ্যতেলসহ এক লিটারের বোতলজাত তেলেও। পাঁচ লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায় আর এক লিটার ১২০ টাকায়।

কাঁচাবাজারগুলোতে প্রতি কেজি শিম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ফুলকপিও বিক্রি হচ্ছে প্রায় অর্ধেক দামে অর্থাৎ ২০ টাকায়। প্রতি পিস লাউয়ে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গোল বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, প্রতি কেজি শসা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ধন্দুল ৪০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, উস্তা ৫০ টাকা এবং কলা প্রতি হালি ২০-৩০ টাকা। তবে দাম কিছুটা কমে মিষ্টি কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

তবে এখনো কিছুটা চড়া রয়েছে গাজর ও টমেটোর দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় আর টমেটো ৯০-১০০ টাকা। এদিকে কিছুটা কমেছে শাকের দাম। বাজারে প্রতি মোড়া লালশাক বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা, পালংশাক ১০-১৫, ডাটাশাক ১০-১৫, মুলাশাক ১০,

লাউ ও কুমড়ার শাক ৩৫-৪০ টাকায়।

প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা এবং চিনি ৬২-৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫০-৫২, মিনিকেট প্রকার ভেদে ৫৮-৬০, নাজিরশাইল ৫৫-৫৮ এবং পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকায়।

এদিকে বাজারগুলোতে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ কেজি, চায়না রসুন ৯০ এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস ও মুরগির দাম। এসব বাজারে প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৫০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই (আকার ভেদে) মাছ ২২০-৩০০, পাঙাস ১০০-১৫০, কাতল ২০০-২৭০ এবং তেলাপিয়া ১০০-১৫০ টাকা।

কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা, মলা মাছ ২৫০-৩০০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে ছোট দেশি চিংড়ি ৩৫০-৫০০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৫০০-৬০০, বাগদা ও গলদা ৫৫০-৭০০ এবং পাবদা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা।

৫ টাকা কমে এক ডজন লাল ডিমের দাম ১০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০-১৮০, হাঁসের ডিম ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০-৫৮০ টাকা। প্রায় ২৫-৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৩০-২৫০ আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়।

বাজার-সদাই

আটাশ-পাইজম ৫০-৫২ নাজিরশাইল ৫৫-৫৮ মিনিকেট ৫৮-৬০ টাকা

শিম ৩০, ফুল-বাধা কপি-লাউ ২০, কাঁচামরিচ ১২০, টমেটো ১০০ টাকা

তেলের দাম বাড়তি ৫ লি. ৫৫০, ১ লি. ১২০ ও খোলা প্রতি কেজি ১১৫ টাকা

শিং ২৪০-৫০০, রুই ২২০-৩০০, পাঙাস ১০০-১৫০, কৈ ১২০-১৬০ টাকা

গরু ৫৫০-৫৮০, খাসি ৭৮০-৮০০, ব্রয়লার ১১০-১২০, কক ১৮০-১৯০ টাকা

পেঁয়াজ ৬০-৬৫, রসুন ১০০-১১০, আদা ১২০, চিনি ৬২-৬৫, মসুর ডাল ৯০-১২০ টাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে