বিজয়স্তম্ভ ভাঙচুরের প্রতিবাদে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরের কেশবপুরে রাতের আঁধারে স্বাধীনতার স্মারক বিজয়স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, পুনরায় স্থাপনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কেশবপুর শহরের প্রবেশ মুখে ২০১০ সালে খোঁজাখালের পাড়ে একটি বিজয়স্তম্ভ তৈরি করা হয়। জাতীয় দিবসে বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে প্রশাসন এবং কেশবপুরের সর্বসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে আসছে। হঠাৎ এক সপ্তাহ আগে ওই বিজয়স্তম্ভটি ভেঙে সমান করে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই স্বাধীনতার স্তম্ভটি ভেঙে ফেলল তা কেশবপুরের উপজেলা প্রশাসনও কিছুই জানে না বলে জানায়। এ বছর বিজয় দিবসে কীভাবে বা কোথায় শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিজয়স্তম্ভ ভাঙচুরে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয়স্তম্ভটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে। বিজয় দিবসের আগে সুবিধাজনক জায়গায় স্তম্ভটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিকামী জনতাকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হবে। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা সভাপতি হারুন অর রশিদ, কেশবপুর শাখার সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মন্ডল, প্রথম আলোর যশোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, কে বা কারা বিজয়স্তম্ভ ভেঙেছে তা জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।