হবিগঞ্জে সড়কে খানাখন্দ প্রতিনিয়ত ঘটছে দুঘর্টনা

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ পৌর শহরের সড়কে খানাখন্দে যানবাহন চালকদের ভোগান্তির শেষ নেই। ছবিটি শুক্রবার তোলা Ñযাযাদি
হবিগঞ্জ পৌর শহরের বেশির ভাগ সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। পৌর শহরের ভাঙা সড়কগুলোর কারণে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এদিকে ভাঙা সড়কের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুঘর্টনা। সরেজমিনে দেখা যায় সড়কের চৌধুরী বাজার ট্রাফিক পয়েন্ট, ঘঁাটিয়া বাজার, বগলা বাজার, শায়েস্তানগর পইল রোড, চৌধুরী বাজার মসজিদের সামন ও বাইপাস সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে বড় বড় গতর্ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলো দীঘির্দন ধরে সংস্কার না করায় একটু বৃষ্টি হলেই গতর্গুলোতে হঁাটুসমান পানি জমে থাকে। এতে এসব সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী যানবাহনসহ সাধারণের চরম দুভোের্গর শিকার হতে হচ্ছে। অপরদিকে ভাঙা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যান চলাচলের কারণে দুঘর্টনা যেমন বাড়ছে তেমনি যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শহরের গুরুত্বপূণর্ এলাকা ঘঁাটিয়া বাজারের রাস্তা ভেঙে বড় বড় গতর্ তৈরি হওয়ার কারণে ওই এলাকার কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সড়ক সংস্কারের জন্য বারবার কতৃর্পক্ষের কাছে গেলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তবে কতৃর্পক্ষ বলছে সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, শিগগিরই সংস্কারকাজ শুরু হবে। শংকর সিটির শংকর বস্ত্রালয়ের ম্যানেজার সুজিত রায় জানান, ঘঁাটিয়া বাজারটি কাপড়ের ব্যবসার একটি গুরুত্বপূণর্ স্থান। এখানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন মাকের্ট করতে আসেন। কিন্তু রাস্তার করুণ অবস্থা দেখে ক্রেতার বিড়ম্বনায় পড়েন। একবার যে ক্রেতা এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে যান, পরবতীের্ত ওই ক্রেতা আমাদের এলাকায় কেনাকাটা করতে চাইলে চিন্তায় পড়ে যান বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাস জানান, হবিগঞ্জ শহরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তাই শহরের রাস্তাগুলো টেকসই রাখতে ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য রাজনগর হয়ে বাইপাস সড়কে এক কোটি ৮২ লাখ টাকা ড্রেন নিমার্ণ করা হবে। ইতোমধ্যে এই উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। ৩য় নগর প্রকল্পের আওতায় পুরাতন হাসপাতাল সড়ক থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌধুরী বাজার পযর্ন্ত রাস্তার এক পাশ দিয়ে ড্রেন নিমার্ণ করা হবে। ওই ড্রেনের সুলতানিয়া লাইব্রেরি থেকে সিনেমা হল হয়ে পুরাতন খোয়াই নদী পযর্ন্ত আরেকটি লিংক বা সংযোগ ড্রেন নিমার্ণ করা হবে। হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগের আওতায় বাইপাস কমান্ডার মানিক চৌধুরী সড়ক ও চৌধুরী বাজার ট্রাফিক পয়েন্ট অংশে ২০-২৫ মিটার সড়ক ভাঙা রয়েছে। চৌধুরী বাজার ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় দুপাশে উঁচু দোকান থাকার কারণে জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এ কারণে সেখানে কিছুদিন পর পর সড়ক ভেঙে যায়। তিনি বলেন, শহরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলে সড়কগুলো রক্ষা করা সম্ভব হবে।