পুঁজি হারানোর শঙ্কায় চিলমারীর মৎস্যচাষিরা

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চিলমারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার ৮ শতাধিক মৎস্যখামার পানিতে ভেসে যাওয়ার মুখে পড়েছে। উপজেলা মৎস্য কমর্কতার্ (ভারপ্রাপ্ত) মো. বদরুজ্জামান জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ইতোমধ্যে কয়েকটি খামারসহ ৩০০ পুকুর তলিয়ে গেছে। আরও অন্তত ৫০০টি ভাসিভাসি করছে। নদে যেভাবে পানি বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে মৎস্যখামার তলিয়ে চাষিরা বিপুল ক্ষতির মধ্যে পড়বেন। উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বাণিজ্যিক খামার ১২টি রয়েছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৩২টি পুকুর ও দিঘি রয়েছে। এসব পুকুর ও খামার থেকে এ বছর মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ১২শ পরিবার সরাসরি মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত। এদের অধিকাংশ দরিদ্র। অনেক চাষি ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেন। পাত্রখাতা চকিদারপাড়া কাপর্ মিশ্রচাষ প্রদশর্নীর দলনেতা কাজিম উদ্দিন জানান, তার প্রকল্পে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ মেট্রিক টন। কিন্তু হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়ায় প্রকল্পের মাছ ভেসে গেছে। এতে তারা পুঁজি হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার খন্দকার মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ১২ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।