এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনশীল দেশ বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম উদ্ভাবনশীল দেশ বাংলাদেশ। অন্যদিকে এ মহাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনশীল দেশ হিসেবে নাম উঠেছে সিঙ্গাপুরের। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত ‘গেøাবাল ইনোভেশন ইনডেক্স-২০১৮’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে আগামী দশকের ‘এনাজির্’ উদ্ভাবন নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এনাজির্ সংশ্লিষ্ট উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ এবং ব্যয়ের ব্যাপারে সম্ভাব্য সফলতাও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তৃণমূল পযাের্য় সফল উদ্ভাবনগুলো কীভাবে সংঘটিত হচ্ছে ও ছোট পরিসরে নবায়নযোগ্য এনাজির্ কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাও বণর্না করা হয়েছে। সবচেয়ে কম উদ্ভাবনশীল দেশ বাংলাদেশ বৈশ্বিক উদ্ভাবনের দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়া। এশিয়ার মধ্যে উদ্ভাবনের অধিকাংশ সূচকেই এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। গত বছরের থেকে বৈশ্বিকভাবে দুই ধাপ এগিয়েছে দেশটি। এশিয়ার উদ্ভাবনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি যারা উদ্ভাবন ব্যয় বাড়িয়েছে। উদ্ভাবনে ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিজ্ঞান সম্পকির্ত প্রকাশনা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানও উন্নত হয়েছে দেশটির। এরপরই রয়েছে জাপানের অবস্থান। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন অবস্থান করছে চতুথর্ অবস্থানে। গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি আমদানি, প্রকাশনার গুণগত মান দেশটির উদ্ভাবনের প্রতাপের সাক্ষ্য দেয়। চীনের পরই অবস্থান করছে মালয়েশিয়া। দেশটি এশিয়ার মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। মধ্য আয়ের দেশটির শিক্ষা, জ্ঞানের বিচ্ছুরণ, সৃজনশীল পণ্য ও সেবার কারণে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়েছে দেশটি। উদ্ভাবনের দিক থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। এরপর এশিয়ার মধ্যে অবস্থান করছে ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়া। পাশের দেশ ভারত অবস্থান করছে নবম স্থানে। প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে গুরুত্বপূণর্ পরিবতর্ন এসেছে ভারতের। ব্রæনাই আয়ের দিক থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থান করলেও উদ্ভাবনে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। দেশটির অবস্থান ভারতের পর দশম স্থানে। এরপরই রয়েছে এশিয়ার তলানীতে থাকা উদ্ভাবনী দেশগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলো উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে যদি তথ্যপ্রযুক্তি খাত, ইন্টারনেট ও বিশ্বজুড়ে জ্ঞানের প্রবাহ থাকে। এশিয়ার সবচেয়ে কম উদ্ভাবনী দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, কাজাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল ও পাকিস্তান। বাংলাদেশের থেকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও পাকিস্তান টেকসই উন্নয়নের দিক থেকে ৫ শতাংশ এগোবে বলে রিপোটের্ বলা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ দেশগুলোর সুরক্ষা বাড়ানোর মাধ্যমে উদ্ভাবনশক্তি বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।