তীব্র গরমে অস্বস্তি চরমে ঢাকাবাসীর

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৮

যাযাদি রিপোটর্
তীব্র গরমে ঘমার্ক্ত এক শ্রমিক

আশ্বিনের দ্বিতীয় দিন পার হয়েছে গতকাল সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। আগে এ সময়টায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকার রেকডর্ রয়েছে। কিন্তু বতর্মানে রাজধানীতে সূযের্র তাপের যে অবস্থা তাতে মাসের হিসেব না থাকলে চৈত্র ভেবেও কেউ ভুল করবেন না! আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, ঢাকায় সোমবার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সবির্নম্ন ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকডর্ করা হয়েছে। রাজধানীতে গতকাল আদ্রর্তা ছিল ৪৮ থেকে ৬২ শতাংশ। আর দেশের কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে। তবে অস্বস্তিকর গরমের পরিস্থিতি থেকে রাজধানীবাসী আজ কিছুটা মুক্তি পেতে পারেন। তাপমাত্রা অল্প কিছু কমতে পারে। তাছাড়া দুই থেকে তিনদিন পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানীর মহাখালী কঁাচাবাজার এলাকায় রিকশাচালক আবদুল গফুর মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করতাম এখন তার অধের্ক করতে পারি। কারণ গরমে বেশি সময় রিকশা চালানো যায় না। অল্প চালিয়েই হঁাপিয়ে উঠতে হয়।’ ঢাকার আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষাথীর্ রুদ্র গরমের কারণে অল্প বিস্তর চমের্রাগে ভুগছে। তার মা সিঁথি আখতার জানান, গরমে ঘামাচি ছাড়াও বিভিন্ন র‌্যাশ উঠেছে রুদ্রর গায়ে। ওষুধ ছাড়াও ডাক্তার পরামশর্ দিয়েছেন দিনে কয়েকবার গা মুছিয়ে দিতে ও কম ঘামার চেষ্টা করাতে। কিন্তু বাচ্চাদের ছোটাছুটি থামিয়ে রাখবেন কীভাবে? শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টাসের্র শিক্ষাথীর্ ফারজানা ভুইয়া সিথী বলেন, ‘আমার চারদিন ধরে জ্বর। বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছি। সাধারণ জ্বর ছাড়া অন্য কিছু ধরা পড়েনি। ডাক্তার বলেছেন অতিরিক্ত গরম থেকে ঠাÐা লেগে জ্বর হয়েছে।’ এদিকে তীব্র গরমে অস্বস্তি, ঘামাচি ছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাসে পানি ও বায়ুবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমা আক্তার বলেন, গরমে ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগগুলো ছাড়াও বায়ুবাহিত বা বাতাসের মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায় সেগুলো বাড়ছে। তাছাড়া মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে। যে কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছাড়াও চিকুনগুনিয়ার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। তবে গতবারের মতো অত বেশি নয়। পরামর্শ হিসেবে এ চিকিৎসক আরও বলেন, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে বেশি। রাস্তার বিভিন্ন শরবতগুলোর পানি বা জারের পানি বিশুদ্ধ থাকে না। বিভিন্ন ধরনের কলিফমর্ ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জ্বর বা যেকোনো রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রæত ডাক্তারের পরামশর্ নিতে হবে। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণগুলো সবার ভালোভাবে জানা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে সচেতন থাকা উচিত।