মন্তব্য বানির্কাটের

এদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূণর্ নিবার্চনের বিকল্প নেই

সব দলের প্রতি সবার সহমমির্তা থাকতে হবে। সামনে সবার অংশগ্রহণে একটা শান্তিপূণর্ নিবার্চন হবে। এটাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনীতে সামনের সারিতে (বঁা থেকে) প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মাকির্ন রাষ্ট্রদূত মাশির্য়া বøুম বানির্কাট ও বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান Ñযাযাদি
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে অভিহিত করে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাশার্ বানির্কাট বলেছেন, এ দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূণর্ নিবার্চনের কোনো বিকল্প নেই। সোমবার রাজধানীর আগারগঁাওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তজাির্তক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পযাের্য়র নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, ব্রিটেনের হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বানির্কাট বলেন, ‘বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। এ দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূণর্ নিবার্চনের কোনো বিকল্প নেই। শান্তিপূণর্ নিবার্চনে সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর দেশ আরও সুন্দর হতে পারে। আসুন আমরা হাতে হাত রেখে সুন্দর দেশ গড়ি।’ ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের উচিত অন্য দলকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া। দলের প্রতি সমথর্কদের ভালোবাসা থাকে। রাজনৈতিক কমীের্দর ভয়ভীতি ছাড়াই সভা-সমাবেশ করতে দিতে হবে। সব দলের প্রতি সবার সহমমির্তা থাকতে হবে। আশা করি, সামনে সবার অংশগ্রহণে একটা শান্তিপূণর্ নিবার্চন হবে। এটাকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।’ অ্যালিসন বেøক বলেন, “আজ সব দল এক কাতারে, আমি খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের মানুষ একটা অবাধ-সুষ্ঠু নিবার্চন দেখতে চায়। সুষ্ঠু নিবার্চনে আমরা সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা আশা করি, দেশের সব নাগরিক ও রাজনীতিবিদ সহিংসতাকে ‘না’ বলবেন। শান্তি জিতলে জিতবে দেশ, জিতবে বাংলাদেশ ।” এইচটি ইমাম বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নিবার্চন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতিজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ চাই। সেই সঙ্গে চাই গণতান্ত্রিক শান্তিপূণর্ এমন একটি দেশ, যে দেশ সারাবিশ্বের আদশর্ হবে। এটি আমাদের লক্ষ্য। আমরা সুষ্ঠু, অবাধ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নিবার্চন চাই। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নিবার্চন আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমরা আশা করি, আমাদের দলের এবং আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে আমরা কখনো পিছপা হব না। অতীতেও হইনি, ভবিষ্যতেও হব না।’ এইচটি ইমাম বলেন, ‘এই যে অগ্রগতিগুলো ধীরে ধীরে হয়েছে। এগুলো আমরা খুব সচেতনভাবে লক্ষ্য করি না। কিন্তু আমি যেহেতু এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই লক্ষ্য করি এবং দেখি আমরা কত দূর এগিয়ে গেছি। আমরা আজকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি, এটি তো বিনা কারণে হয়নি। এ দেশের মানুষ, সবাই অংশগ্রহণ করেছে বলেই এটি হয়েছে। এই উন্নয়নের পেছনে প্রাইভেট সেক্টর, জনমত ও সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সরকার দিকনিদের্শনা দিয়েছে। আমাদের দূরে তাকানোর মতো ক্ষমতা থাকতে হবে যে, আমরা ভবিষ্যতে কী রকম বাংলাদেশ চাই।’ প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা, বাংলাদেশ যেমন উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ চাই তেমনি সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক শান্তিপূণর্ এমন একটি দেশ চাই যেটি সারাবিশ্বের আদশর্ হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময়ই আক্রান্ত হয়েছে। আমি সেসব ঘটনাগুলো বলতে চাই না। কিন্তু আমরা কখনও কাউকে পাল্টা আক্রমণ করিনি।’ তিনি বলেন, ‘সব দলের সব নেতা, সবার কাছে আমি দাবি করতে পারি যে, আমি একজন বষীর্য়ান মানুষ। কাজেই এদিক থেকে সবার কাছে অনুরোধ করতে পারি, আমরা ভুল ও মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকব। বিদ্বেষপূণর্ প্রচারণা থেকে বিরত থাকব। আমরা সত্য কথা বলব। সত্যকে সত্য বলব। সাদাকে সাদা বলব। কালোকে কালো বলব। যিনি অন্যায় করছেন সেটি তুলে ধরব।’ অনুষ্ঠানে ড. আব্দুল মইন খান বলেন, ‘বিএনপি সব সময় শান্তিপূণর্ নিবার্চন দাবি করে আসছে। তার আগে আমাদের দরকার রাজনৈতিক পরিবেশ।’ পরে এইচটি ইমাম ও মইন খান হাত মেলান। এরপর জেলা-উপজেলা থেকে আগত নেতাকমীর্রা এক সারিতে বসেন। অনুষ্ঠানে আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চন শান্তিপূণর্ভাবে সম্পন্ন করার জন্য শপথ নেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০ জেলার ৪০০ রাজনীতিক। শান্তিপূণর্ ও অহিংস ভোট আয়োজনে কেন্দ্র ও তৃণমূলের এ রাজনীতিকরা একই মঞ্চে শিশুদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শান্তির জন্য অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন। এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য- শান্তিপূণর্ নিবার্চন ও সহনশীল রাজনীতির চচার্ বাড়াতে দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রাথীর্ এবং সাধারণ জনগণকে সচেতন করা ও তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা।