চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ

প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খাদ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। যাচাই-বাছাই শেষে নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ও জিটুজি পদ্ধতিতে চার লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও দেশে 'পর্যাপ্ত মজুত' রয়েছে বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, দেশে ১৯ হাজার ৭৩৪টি চালকল বা চাতাল রয়েছে। প্রতিটি চাতালে ৫০০ থেকে এক হাজার বস্তা চালের মজুত থাকে। ছোট ছোট মুদি দোকানগুলোতেও ৫ থেকে ১০ বস্ত চাল মজুত থাকে। সেই হিসাবে দেশে এখনো (সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে) ৩০ লাখ টন চাল মজুত রয়েছে বলে আমরা হিসাব করছি। কিন্তু বাজার স্বাভাবিক রাখার জন্য আমদানি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে চাহিদার তুলনায় ২৯ লাখ টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজ মোলস্নাহ, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর স্বর্ণার মতো মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ বছর সরকার ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনছে। কিন্তু খোলা বাজারে কৃষক ভালো দাম পাওয়ায় ওই দামে ধান-চাল কিনতে পারছে না সরকার। বাজারে এখন চিকন জাতের ধান ১৫শ' টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে। চুক্তিবদ্ধ মিলাররাও লোকসানের কথা ভেবে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ধান-চাল সরবরাহ অভিযান চলবে আগামী ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত।