'কারসাজি মিলার ও আড়তদারদের'

প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মিলার ও আড়তদাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল রোববার সচিবালয় থেকে গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে একটি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মিলার, আড়তদার ও জোতদাররা যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করেন তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে। মৌসুমের সময় তারা এখনো ধান কিনছেন এবং ধান ও চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি ভারত থেকে এবং অন্যান্য দেশ থেকে চাল আনার। ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকার পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন চাল আনতে পারবে। এর বেশি হলে আমরা অনুমতি দেব না। যখনই ৬ লাখ টনের এলসি দেওয়া হবে তারপর আর এলসির সুযোগ দেওয়া হবে না। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এতটা চালের ঘাটতি আমাদের নেই। কিন্তু এ সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে, যেটুকু ঘাটতি রয়েছে তা মেটাতে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে। ধান-চালের দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বছর কয়েক দফা লাগাতার বন্যা ও ৫ মাসব্যাপী অতি বৃষ্টিতে আউশ ও আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে চালের দাম কিছুটা বেশি। বিশেষ করে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম অনেক বেশি। ডক্টর রাজ্জাক বলেন, সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমদানি করে এই ঘাটতি মেটাতে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পারলে চালের মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় আসবে। একটি মানুষকেও না খেয়ে থাকতে হবে না। ভবিষ্যতেও যাতে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সর্বাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়ানো হবে এবং দুই লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান চাষের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ৭৬ কোটি টাকার ধানবীজ বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হবে। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কলেস্নাল, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।