করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ মৃতু্য, শনাক্ত ১০৪৯

প্রকাশ | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও ২৪ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মৃতের মোট সংখ্যা ৭ হাজার ৪৫২ জনে দাঁড়াল। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৯ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জনে। প্রতিদিনের মতো রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে করোনার সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৪টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টির্ যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ১২ হাজার ৬৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৯১০টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ২২৭টি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জন হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। নিহতদের মধ্যে ২৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও একজন বাসায় মারা যান। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। বসবাসের স্থান অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন খুলনা এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৪৫২ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৭৫ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৭৭ জন নারী জন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৯৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৭৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৩৮৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৩১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫২৫ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৩৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২০ ডিসেম্বর তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর তথ্য জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে।