দেশের উত্তর জনপদের বিভিন্ন এলাকায় ১০ দিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহ এখনো অব্যাহত রয়েছে; সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রোববার রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, 'ডিসেম্বরের শেষভাগে উত্তরাঞ্চলে এরকম টানা শৈত্যপ্রবাহ কোথাও না কোথাও থাকেই। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার চাদরে এমন আবহাওয়া ব্যতিক্রম নয়।'
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রাবহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার
কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ; থার্মোমিটারের পারদ ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এলে তাকে মাঝারি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়।
চলতি মৌসুমে ১৯ ডিসেম্বর থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় উত্তর জনপদে। পরদিন রাজারহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৌষের এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ থাকবে। আবার কোথাও কোথাও তাপমাত্রা বাড়বে। তবে বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে।