বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে কমর্চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
যমুনা, বড়াল, করতোয়া নদী পানিতে টইটুম্বুর হওয়ায় উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম বাঘাবাড়ী নৌবন্দর এখন কমর্চাঞ্চল্য। অথচ কিছুদিন আগেও যমুনা ও বড়াল নদীর নাব্য সংকটে স্থবির হয়ে পড়েছিল উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম এই নদী বন্দর। ১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকার উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার ব্যবসাবাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বড়াল নদীর তীরে স্থাপন করেন বাঘাবাড়ী নদী বন্দর। এটি যমুনা নদী পশ্চিম তীরে অবস্থিত। পদ্মা, যমুনা ও বড়াল নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকায় এই নদী বন্দরের ভৌগলিক ও ব্যবসায়িক গুরুত্ব অনেক বেশি। বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জ্বালানি তেল, সার, কয়লা, পাট উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় সরবরাহ করা হয়। কুলি, শ্রমিক, মালিকদের কলরবে সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত মুখরিত থাকে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর। বন্দরের তীরেই রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তিনটি তেলের ডিপো। ডিপো থেকে পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য এবং সার সরবরাহের মধ্য দিয়ে এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই বন্দরটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের অথর্নীতিতে বিরাট ভ‚মিকা রাখছে। বাঘাবাড়ী বন্দর হলো বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী বন্দর। এই বন্দর দ্বারা দেশের উত্তর অংশের কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার এই নৌবন্দর দিয়ে আনা হয়। এই বন্দর দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা, ডিজেল, রাসায়নিক সার নদীপথে আনা হয় ছোট জাহাজে করে। তবে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে বন্দরমুখী নদীতে চর জেগে মালবাহী জাহাজ কগোর্ সময়মত ভিড়তে পারে না। বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় ছেড়ে যায় শত শত সার, কয়লা ও জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংক। বন্দরটিকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ভাসমান বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, সিমেন্ট ও গোখাদ্য তৈরি কারখানা। এ ছাড়াও মিল্কভিটা কারখানাও এই নদী বন্দরেই অবস্থিত। ফলে দেশের অথর্নীতির এক গুরুত্বপূণর্ অংশ এই নদী বন্দর থেকে অজির্ত হয়।