ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অবশেষে উপনীত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আরেকটি ভারত-পাকিস্তান মহারণ উপভোগের যে অধীর অপেক্ষা ক্রিকেট রোমান্টিকদের, সেই অপেক্ষা ঘুচে যাচ্ছে। এশিয়া কাপে আজ দুবাই আন্তজাির্তক স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রæপের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী দুই দল। স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচটিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান। রোহিত শমার্র ভারত অবশ্য সেই সুযোগটা পাচ্ছে না। পাবে কী করে, মঙ্গলবার হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ কিছু। উত্তেজনা-উন্মাদনা থাকে সবর্ত্র। এমন ম্যাচে দুই দলের ক্রিকেটাররা ভোগেন স্নায়ুচাপে, থাকে চাপা উত্তেজনা। দলের প্রত্যেকের মধ্যে কাজ করে সামথের্্যর সবটুকু উজাড় করে দেয়ার তাড়না। এই দ্বৈরথ নতুন নতুন তারকার জন্ম দেয়, আনন্দ-উন্মাদনায় ভাসিয়ে দেয় সমথর্কদের। আসর শুরুর বেশ আগেই তাই শেষ হয়ে যায় ম্যাচের টিকিট। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ২৫ হাজার টিকিটের একটিও অবিক্রীত নেই। যদিও বø্যাকে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে, তবে নিধাির্রত মূল্যের কয়েকগুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। এতেও অবশ্য খেদ নেই কারও। ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ তো আর হরহামেশাই দেখা যায় না। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হচ্ছে না। তাই আন্তজাির্তক টুনাের্মন্টগুলোতেই কেবল বহুল আকাক্সিক্ষত দ্বৈরথ উপভোগের সুযোগ হয়। দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল গত বছরের জুনে, ইংল্যান্ডের মাটিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলির ভারতকে ১৮০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সরফরাজের পাকিস্তান। আজকের ম্যাচটা তাই এক অথের্ ভারতের জন্য প্রতিশোধেরও। অথচ এমন একটা ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক কোহলিকে পাচ্ছে না তারা। তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তাই বলে ভারতকে দুবর্ল ভাবতে যাবেন না। রোহিত আছেন। অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনিও তো আছেন। আছেন শিখর ধাওয়ান, আজিঙ্কা রাহানে, লোকেশ রাহুল, জাসপ্রিত বুমরাহ আর ভুবনেশ্বর কুমারের মতো পরীক্ষিতরাও। এই ভারতও ওয়ানডেতে বিধ্বংসী এক দল। অবশ্য অনেকেরই ধারণা, কোহলির অনুপস্থিতি এবারের মহারণে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রাখবে টিম ইন্ডিয়াকে। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ অবশ্য তেমনটা ভাবছেন না, ‘সন্দেহ নেই সে তাদের অধিনায়ক এবং বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। তবে আমার মনে হয়, কোহলিকে ছাড়াও তারা (ভারত) ভালো দল। ভারতের এমন খেলোয়াড় আছে, যারা ভালো করছে। তাই আমি মনে করি না, এটা ভারতীয় দলে তেমন কোনো ব্যবধান তৈরি করবে। তাদের ব্যাটিং খুবই শক্তিশালী। তাই আমি এটা বলতে পারি, দারুণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে।’ স্নায়ুচাপে না ভোগে সতীথের্দর এই ম্যাচ উপভোগ করার পরামশর্ও দিয়ে রাখলেন পাকিস্তান দলপতি, ‘খেলোয়াড়দের প্রতি আমার বাতার্Ñ ফল নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। নিজেদের সেরাটা দাও, তাতেই ইতিবাচক ফল আসবে।’ অন্যদিকে রোহিত শমার্ বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই রোমাঞ্চকর।’ তবে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর পাকিস্তানের শক্তি আর দুবর্লতা নিয়ে ভাববে ভারত, এমনটাই জানিয়েছেন রোহিত। তাদের এই ভাবনা কেবলই জয়ের তাড়নায়। কারণ একটাইÑ চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের কাছে কিছুতেই হারা চলবে না। দুই শিবিরের এমন ভাবনাই আসলে মহারণটাকে দিয়েছে বিশেষ মাত্রা। যে মহারণে লেখা থাকে ক্রিকেটের জয়।