আগ্নেয়াস্ত্র প্রদশর্ন

ফের উত্তপ্ত চট্টগ্রাম কলেজ ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ

কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন পদবঞ্চিতরা। যারা আ’লীগ নেতা ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারি বলে পরিচিত।

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বুধবারও। মিছিল থেকে হাতবোমা ফাটানো ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের লাঠিচাজের্ তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় অনেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায় Ñফোকাস বাংলা
যাযাদি ডেস্ক চট্টগ্রাম কলেজে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজের সামনের সড়কে এ ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটানো এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) নোবেল বলেন, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা মিছিল নিয়ে গণি বেকারির দিকে আসার সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচাজর্ করে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিতরা বুধবার সকালে কলেজের ভেতর বিক্ষোভ করতে থাকে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বহিরাগত বেশকিছু যুবক গণি বেকারি ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় কলেজ থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা গণি বেকারির দিকে এলে সেখানে বহিরাগত যুবকরা সেই মিছিলে যোগ দিতে যায়। এ সময় তাদের অনেকের হাতে কাটা রাইফেল ও ধারাল অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদশীর্রা। মিছিলটি গুলজারের দিকে গিয়ে পুনরায় গণি বেকারির দিকে আসলে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে। দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কলেজশিক্ষাথীর্ ও বিভিন্ন স্কুলে আসা অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। আশির দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দখল নিয়ে একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় এই দুই কলেজে অন্য ছাত্রসংগঠনের কাযর্ক্রম এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিল। চট্টগ্রাম কলেজে খুন হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতা। হামলায় আহত হন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতাকমীর্। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর এই দুই কলেজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। বিভিন্ন সময় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে সংঘষের্ও জড়ায় সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের বিভিন্ন নেতার অনুসারি কমীর্রা। এর মধ্যে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রলীগ। কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখে পদবঞ্চিতরা। যারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারি বলে পরিচিত।