বিএসএমএমইউতে ২৫৫ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার যন্ত্র স্থাপন

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৩৪

যাযাদি রিপোটর্
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’ কমর্সূচির আওতায় চলতি বছরের এখন (১৮ সেপ্টেম্বর) পযর্ন্ত ২৫৫ জন শ্রবণপ্রতিবন্ধীকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। আরো শতাধিক শিশুকে এই সেবা প্রদানের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি বøকের মাল্টিপারপাস হলে অষ্টম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সাজাির্র বিষয়ক ২ দিনব্যাপী কমর্শালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। গুরুত্বপূণর্ ওই কমর্শালায় চিকিৎসক, স্পিচ থেরাপিস্ট, অডিওলজিস্টসহ ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন। এর আগে অনুষ্ঠিত এ ধরনের ৭টি কমর্শালায় দুই সহস্রাধিক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, স্পিচ থেরাপিস্ট, অডিওলজিস্টদের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সাজাির্রর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নাক কান গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানুলাল সাহার পরিচালনায় প্রশিক্ষণ কমর্শালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচাযর্ অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে লেকচার প্রদান করেন ব্যাঙ্গালোরের (ভারত) কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের ডা. সম্পদ চন্দ্র প্রাসাদ রাও। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোল্যারিংগোলজি হেড নেক সাজাির্র বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’র কমর্সূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদার প্রমুখ । সভায় জানানো হয়, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগীর কানে স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে শ্রবণপ্রতিবন্ধীরা কানে শুনতে পারে ও পৃথিবীটা তাদের কাছে হয়ে উঠে শব্দময়। এটি একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা, শুধু কানে স্থাপনের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইসের মূল্য ১০ লাখের বেশি। তবে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ব্যয়বহুল ডিভাইস বিনামূল্যে সরবরাহ করছে বিএসএমএমইউ।