হাইকোটের্ সাজার রায় স্থগিত : নওয়াজ-মরিয়মের মুক্তি

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৩৪

যাযাদি ডেস্ক
ইসলামাবাদ হাইকোটর্ দুনীির্ত মামলায় দÐ স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। আদালতের নিদেের্শ বুধবার সন্ধ্যায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে শরিফ ও মরিয়মের পাশাপাশি মরিয়মের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কমর্কতার্ মোহাম্মদ সাফদারকেও মুক্তি দেয়া হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে ইসলামাবাদ হাইকোটর্ তাদের কারাদÐ স্থগিত করে মুক্তির নিদের্শ দিয়েছিল। নওয়াজ শরিফের আপিলের শুনানি করে আদালত এ আদেশ দেয়। এদিন সন্ধ্যায় তাদের মুক্তির পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের বতর্মান প্রধান শাহবাজ শরিফসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদের আনতে আদিয়ালা কারাগারে যান। পিএমএল-এনের অনেক কমীর্-সমথর্কও এ সময় কারাগারের বাইরে জড় হন। নওয়াজকে নিয়ে গাড়িবহর কারাগার থেকে বের হলে সমথর্করা গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে তাদের বরণ করেন। কারাগার থেকে নওয়াজ পরিবার নূর খান বিমানঘঁাটিতে যায় এবং সেখান থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে লাহোর রওনা হন। লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুনীির্তর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৬ জুলাই পাকিস্তানের একটি আদালত নওয়াজকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদÐ দিয়েছিল। এর এক সপ্তাহের মাথায় নওয়াজ ও তার মেয়ে লন্ডন থেকে ফিরলে ১৩ জুলাই বিমানবন্দর থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। নওয়াজ বন্দি থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শেষকৃত্যে যোগ দেয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর নওয়াজকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। প্যারোলের সময় শেষ হওয়ার পর তারা আবার কারাগারে ফিরে যান। অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোটের্ নওয়াজের আইনজীবীদের করা আপিলের মধ্যেই আদালত তাদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মিয়ঁাগুল হাসান আওরঙ্গজেব বেঞ্চ বুধবার তাদের আপিল আবেদন গ্রহণ করেন এবং আপিল শুনানির পর চূড়ান্ত রায় না আসা পযর্ন্ত তাদের দÐ স্থগিতের নিদের্শ দেন। আপিল আবেদন গ্রহণ করে দÐ স্থগিতের পর নওয়াজ, মরিয়ম ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কমর্কতার্ মোহাম্মদ সাফদারের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে এবং তাদের পঁাচ লাখ রুপি জামানত দেয়ার নিদের্শ দেয়া হয়।