রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন বলেন, 'মিয়ানমার খালি শোনে, কিন্তু জবাব দেয় না'। আমরা মিয়ানমারকে প্রায় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা পাঠিয়েছি, যাদের সবার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা রয়েছে। মিয়ানমার তাদের মধ্যে ৪২ হাজারকে ভেরিফাই করেছে। বুধবার বিকাল পৌনে ৪টায় লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে সঙ্গীতশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান 'সুরের ধারা' আয়োজিত পৌষ উৎসবের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডক্টর মোমেন বলেন, আগামী ১৯
জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হবে। আমরা আশাবাদী, বৈঠকে সফল হব। এর আগে পৌষ উৎসবের উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি অগ্রসর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকর্মীরা ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, এ উৎসবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র-কুঠির শিল্পের স্টলও বসেছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। করোনার সময় সংস্কৃতি কর্মী-সংগঠন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ আয়োজনে বিনোদনের পাশাপাশি আর্থিক সুবিধাও রয়েছে, এটি দারুণ বিষয়। তিনি আরও বলেন, বাঙালির সব উৎসব ঐক্যের প্রতীক। আবহমান বাংলার এসব উৎসব আমাদের ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করে। এ ধরনের আয়োজন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য পৌষ উৎসবকে নতুন করে যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে নতুনরূপে চর্চার প্রচেষ্টায় 'সুরের ধারা' বিগত ছয় বছর ধরে এ আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর দুই দিনের আয়োজন হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার উৎসবের আয়োজন একদিনের। উৎসব উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার অধ্যক্ষ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও অধ্যাপক শফি আহমেদ।
