করোনার প্রণোদনা কর্মসূচি

২ হাজার ৭০০ কোটির নতুন দুই প্রণোদনা

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অর্থনীতি সচল রাখতে আরও নতুন দুটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে। এজন্য দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী নতুন এই দুটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন। যার বাস্তবায়ন দ্রম্নত শুরু হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। উলেস্নখ্য, করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় নতুন অনুমোদিত এই দুটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি। এর মোট আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে ?উদ্দেশ্যে এ দুটি নতুন প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা অবশ্যই কার্যকর হবে। এবং নতুন এ দুটি প্রণোদনার মাধ্যমে আমাদের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী অত্যন্ত উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিতেও আরও গতি সঞ্চার হবে। নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার ১৫০০ কোটি টাকা, যার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণর করা হবে। এ লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পলস্নী দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পলস্নী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। উলেস্নখ্য, করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থ বিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোয় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা ছিলেন। এ মতবিনিময় সভাগুলোয় করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়। এজন্য পলস্নী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়।