আজকের যায়যায়দিন

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে তিন আসামির করা ডিসচার্জ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে আনা হয় ধর্ষণ মামলার আসামিদের। এরপর ওইদিন সাড়ে ১০টার দিকে আসামিদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে হাজির করার পর তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের উপর বিচার কাজ শুরু হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আগামী ধার্য্য তারিখে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল হাসান ইসলামের পক্ষে অভিযোগপত্রের উপর ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল করলে আদালত শুনানি শেষে তা না-মঞ্জুর করেন। এ সময় অর্জুন লস্কর ও মাহবুবুর রহমান রনির আইনজীবীরা জামিন চাইলে

আদালত তাও না-মঞ্জুর করেন। আদালতের বিচারক গণধর্ষণ, অপহরণ ও গণধর্ষণের সহযোগিতায় আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠন করেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উলেস্নখ করে এবং দু'জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ওর্ যাব। গ্রেপ্তারের পর তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

হাসিনা-তামিম বৈঠক / বাংলাদেশ-কাতার ৫ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।