তোফায়েল আহমেদের জবাব

সংসদ বিলুপ্ত বা সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাইকে চিনি, আমরা দলছুট নেতাদেরও চিনি। যঁারা আজকে জোট করছেন, তঁারা একসময় আমাদের দল করতেন। এমন নেতাও আছেন জীবনে ভোটে দঁাড়িয়ে জিততে পারেননি’

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
তোফায়েল আহমেদ
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন হবে সংবিধান অনুসারে এবং এই নিবার্চন কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, সংসদ বিলুপ্ত বা সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। শনিবার সম্প্রীতি নৌযাত্রা-২০১৮ উদ্বোধনী পবের্ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদরঘাটে এমভি মধুমতি জাহাজে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও বিএনপি এক হয়ে একটি ঐক্যজোট গঠন করতে যাচ্ছে। আমরা এই ঐক্যজোটের বিরুদ্ধে না। নিবার্চন হবে সংবিধান অনুসারে, নিবার্চন কমিশনের ঘোষিত তারিখ অনুসারে। বতর্মান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় থাকবে। ভারতে ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় থাকে নিবার্চনকালে। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, গ্রেট ব্রিটেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিটি দেশে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থেকে নিবার্চন করে। ভারতে সংসদও থাকে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিবার্চন হবে সংবিধান অনুসারে। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, এই নিবার্চনকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। সরকারের যে দায়িত্ব নিবার্চনকালীন সময়ে নিবার্চন কমিশনকে সাহায্য করা, সেই নিবার্চন কমিশনই নিবার্চন পরিচালনা করবে। আমরা অন্তবর্র্তীর্ সরকার হিসেবে নিবার্চন কমিশনকে সাহায্য করব। এর বাইরে কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে চিনি, আমরা দলছুট নেতাদেরও চিনি। যঁারা আজকে জোট করছেন, তঁারা একসময় আমাদের দল করতেন। এমন নেতাও আছেন জীবনে ভোটে দঁাড়িয়ে জিততে পারেননি, বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবাির্চত হয়েছেন। এমন নেতাও আছেন, যঁাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল, টেনে নামানো হয়েছে।’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবাষির্কী ও বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে ইউনাইটেড রিলিজিয়ন ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের বিদ্যাসাগর সোসাইটি ও ইন্টাররিলিজিয়ন হারমোনি সোসাইটির উদ্যোগে সম্প্রীতি নৌযাত্রা-২০১৮ আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী পবের্ ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন : আন্তধমীর্য় সম্প্রীতির মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা’ শীষর্ক আলোচনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিÍএটি ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূলনীতি এবং সেই নীতি অনুসরণ করেই আজ আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে চলেছি।’ উদ্বোধনী পবের্ ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কো-অডিের্নটর বিশ্বদেব চক্রবতীর্ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাঙালি চেতনার যে নবজাগরণ উনি শুরু করেছিলেন, তা শুধু বাংলাদেশকে কেন্দ্র করেই এখন তা প্রভাবিত নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।’ ইন্টার রিলিজিয়ন হারমনি সোসাইটির মহাসচিব মনোরঞ্জন ঘোষালের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পবের্ ইউনাইটেড রিলিজিয়ন ইনিশিয়েটিভের এশিয়ান ট্রাস্টি রেভা. কল্যাণ কুমার কিস্কু, ইন্টার রিলিজিয়ন হারমনি সোসাইটির চেয়ারম্যান মিঞা মুজিবুর রহমান, বিদ্যাসাগর সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই প্রমুখ বক্তব্য দেন।