২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২০ মৃতু্য, শনাক্ত ৭০২ জন

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯৪২ জনে দাঁড়াল। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭০২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ২৯ হাজার ৩১ জনে। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে করোনার সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টির্ যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ ১৯৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৫৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ হাজার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৫৭টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬০টি। এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী ৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ জন ও বাসায় ২ জন মারা যান। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ২০ জনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন রয়েছেন। ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহীতে ২ জন ও খুলনা বিভাগে ১ জন রয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মোট মৃতু্য ৭ হাজার ৯৪২ জনের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ১৮ জন (৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৯২৪ জন (২৪ দশমিক শূন্য ২৩ শতাংশ)। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩৮১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়াও ১ হাজার ৯৯৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৯১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪০৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৫৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৫৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ১৪ জানুয়ারি তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য ছিল। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৯ কোটি ৫৬ হাজার পেরিয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখ ৪১ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৯তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৃতের সংখ্যায় ৩৮তম অবস্থানে রয়েছে।