রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আশাবাদী বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, 'এখন অনেক ফ্যাক্টরস আছে, সবগুলো ফ্যাক্টরস মাথায় রেখে, ইতোপূর্বে যেহেতু দুটি ডেট দিয়ে আমরা সফল হতে পারিনি, এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের। আমরা সিনসিয়ারলি এঙ্গেজড থাকব।' 'ব্যক্তিগতভাবে আমি কশাসলি অপটিমিস্টিক, আমাদের ডিপেস্নামেটিক ভাষার বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সউল।' পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, সেখানে ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং, এই টোটাল নম্বরটা বাড়তে থাকবে, অনেক জটিলতা আসতে থাকবে। দ্রম্নত শুরু করাটার বিকল্প নেই।' ভার্চুয়াল পস্ন্যাটফর্মে দুপুর ২টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে সচিবপর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুইয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান। রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরানোর জন্য গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তাব বৈঠকে দেওয়া হবে বলে সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ফেব্রম্নয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ওয়ার্কিং গ্রম্নপের মিটিং হবে এবং সেটার ব্যাপ্তি কিছুটা বাড়বে। আগে আমাদের ডিজি লেভেলের সঙ্গে চীন ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থাকতেন। এটাকে বড় করে মিয়ানমারের নে পি দোতে ডিজি আছেন এবং বেইজিংয়ে ফরেন মিনিস্ট্রিতে যে যে ডিজি আছেন, উনারাও সংযুক্ত হবেন। দুই দেশের ডিজিদের মধ্যে একটি হটলাইন চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যত দ্রম্নত সম্ভব এটা হবে। যাতে করে যেকোনো ধরনের ছোটখাট চ্যালেঞ্জ থাকলে, তারা নিজেরা কথা বলে ঠিক করে নিতে পারবে। ছয় দফায় মোট আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার, যার মধ্যে ৪২ হাজারের ভেরিফিকেশন করেছে মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।