সংসদে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী

গত ৯ মাসে দেশে ফিরেছেন ৪ লাখের বেশি প্রবাসীকর্মী

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরে বৈশ্বিক শ্রমবাজার। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের প্রবাসীকর্র্মীদের ওপরও। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ গত ৯ মাসে বিদেশ থেকে মোট ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন প্রবাসীকর্মী দেশে ফেরত এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। এদিকে দেশে ফেরা প্রবাসীদের মধ্যে নারী সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯২৪ জন। বুধবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্যাপ্রাপ্ত কর্মীদের কর্মসংস্থান তথা পুনর্বাসনের জন্য সরকার গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্য দেশে সমস্যাগ্রস্ত কর্মীদের দেশে যেন ফেরত আসতে না হয় সেই লক্ষ্যে আপদকালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে দূতাবাসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। করোনার কারণে চাকরিচু্যত বা অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশে প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগ ঋণ প্রদানের জন্য আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল হতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং প্রত্যাগত কর্মীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকার হতে ৫০০ কোটি টাকার সর্বমোট ৭০০ কোটি টাকা ঋণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত উলিস্নখিত ২০০ কোটি টাকা হতে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে মোট ৭৭১ জনকে এবং ৫০০ কোটি টাকা হতে পুরুষ কর্মীদের ৯ শতাংশ এবং নারী কর্মীদের জন্য ৭ শতাংশ সুদে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৩ জন বিদেশফেরত কর্মীকে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ৭১টি শাখার মাধ্যমে এই ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জনান, আইওএম-এর সহায়তায় প্রত্যাগত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য পৃথক ডাটাবেজ প্রণয়নে প্রত্যেক জেলা হতে দুজন করে সর্বমোট ১২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রত্যাগত কর্মীদের নিবন্ধনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে।