আজকের যায়যায়দিন

নিজের নামে পদ্মা সেতু চান না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নামে নামকরণের দাবি উঠলেও তিনি তাতে সায় দেননি। বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গাজীপুর-৩ আসনের মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ জাতীয় সংসদে এ প্রস্তাব করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথমে হাত নেড়ে, পরে মাথা নেড়ে 'না' বোধক জবাব দেন। একপর্যাযে প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত হতেও দেখা যায়। সংসদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রসারিত অধিবেশনে এ দৃশ্য লক্ষ করা গেছে।

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ইকবাল হোসেন এ প্রস্তাব দেন। আওয়ামী লীগ দলীয় আরেক সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথও প্রধানমন্ত্রীর নামে পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব দেন এদিন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে

মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, 'আমি প্রস্তাব রাখতে চাই শেখ হাসিনার কাছে। এই জাতির মাধ্যমে এই জাতীয় সংসদের ৩৫০ সংসদ সদস্য যারা এই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাদের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু হওয়া উচিত। এ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।'

তাপপ্রবাহে পুড়ছে ছয় জেলা / সারাদেশে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

এসময় বারবার প্রধানমন্ত্রী হাত নেড়ে অসম্মতি জানান।

ইকবাল হোসেন আরও বলেন, 'আমি জানি, আপনি উদার। আপনি মহানুভবতার মূর্তপ্রতীক। প্রেরণা কোনো দিন প্রকাশ্যে আসে না। প্রেরণা ভেতরে লালন করে। অক্সিজেন নিজেকে জড়িয়ে অপরকে আলোকিত করে। আপনি নিজের নামেই পদ্মা সেতু করবেন। ইতোমধ্যে আপনি না করেছেন কিন্তু আমাদেরও দায়বদ্ধতা আছে।'

একই বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় আরেক সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, ''দুনিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মায় বঙ্গবন্ধুকন্যার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে এই সেতু নির্মাণ করা। আমি আবারও দাবি জানাই, এই সেতুর নাম হবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী তার বিনয় দিয়ে হয়তো বারবার বলবেন, 'না'। আমরা যারা এই প্রজন্মের মানুষ তারা অকৃতজ্ঞ নই, আমরা জানি যখন বিশ্বব্যাংক ফান্ড প্রত্যাহার করে নিল, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অন্তরায় সৃষ্টি হলো, বঙ্গবন্ধুকন্যা সাহস করে বললেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাব এবং তিনি এটা সম্ভব করেছেন মাত্র ১২ বছরে। পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র আজ বাস্তবতা। টানা ২০০ বছর দুই হাজার মেগাওয়াট বিদু্যৎ ছয় কোটি মানুষ পাবে।'

এদিকে পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নামে নামকরণে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের হয়েছে। এ রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সড়ক পরিবহণ ও সেতু সচিব, প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।