এবার ট্যাবলেটেই করোনা প্রতিরোধের দাবি!

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় অপ্রচলিত একটি গবেষণায় সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নার্সিং হোম 'ইলাই লিলি'। মার্কিন গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উপসর্গ দেখা দেওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে নার্সিং হোমের কর্মী ও বাসিন্দাদের ওপর ইলাই লিলির তৈরি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিসমৃদ্ধ ট্যাবলেট বা বড়ি প্রয়োগ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে 'সাফল্যের প্রমাণ' পাওয়ার দাবি করেছে ওই কোম্পানিটি। ইলাই লিলি বলছে, বয়স্ক ব্যক্তি, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রেও 'সুরক্ষা' দিতে পারছে ওই ওষুধ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ'র সঙ্গে করা এক ওই গবেষণার প্রাথমিক ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে এ কোম্পানি। তারা বলছে, নার্সিং হোমের রোগীদের মধ্যে ওষুধটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে, ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা কমে গেছে। আর নার্সিং হোমের কর্মীদের ক্ষেত্রে এ হার কমেছে ৬০ শতাংশ। তাদের গবেষণালব্ধ এ তথ্য এখনো অন্য গবেষকদের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা বা পিয়ার রিভিউ করা হয়নি; এ তথ্য কোনো জার্নালেও প্রকাশিত হয়নি। তবে ইলাই লিলির কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই তারা তাদের গবেষণালব্ধ ফল জার্নালে প্রকাশ করবেন। কিন্তু কতদিনের মধ্যে তা প্রকাশিত হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা তারা দেননি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ৯৬৫ জনের ওপর ইলাই লিলির এই গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে ৬৬৬ জন নার্সিং হোমের কর্মী, বাকিরা রোগী বা বয়স্ক বাসিন্দা। এ ধরনের গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবীদের দুটি দলে ভাগ করে একটি দলকে বড়ি দেওয়া হয় এবং অন্য দলকে দেওয়া হয় পস্নাসিবো (যাতে ওষুধের কোনো গুণাগুণ থাকে না, কিন্তু রোগী ওষুধ জেনেই তা খায়)। কোন দলকে ওষুধ আর কোন দলকে পস্নাসিবো দেওয়া হচ্ছে, তা কাউকে বলা হয় না। এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চার জনের করোনাভাইরাসে মৃতু্য হয়, তাদের সবাই পস্নাসিবো পেয়েছিলেন, মূল ওষুধ নয়। ইলাই লিলির ওই ওষুধের নাম 'বামলানিভিমাব', যা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল। ওই অনুমোদনের ফলেই তারা সংক্রমণের শুরুর পর্যায়ে উপসর্গ আছে, এমন রোগীদের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করতে পেরেছে। তবে সংক্রমণ শুরুর আগেই ওষুধটি তা থামিয়ে দিতে পারে কিনা, গবেষণায় তা দেখার চেষ্টা করেছিলেন গবেষকরা। কোনো নার্সিং হোমে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর পেলেই ট্রাকে করে মোবাইল ল্যাব ও কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতেন। এরপর ওষুধটি প্রয়োগের জন্য বানানো হতো অস্থায়ী ইনফিউশন সেন্টার।