শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে দুই লাশ উদ্ধার, মৃতু্য নিয়ে ধূম্রজাল!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

সুন্দরবনে নিখোঁজ হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভারত সীমান্তের সীমাখালী নামক খাল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার বিকালে সীমান্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিহতরা হলেন-সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও একই গ্রামের মনু মিস্ত্রির ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। তবে তাদের মৃতু্য বাঘের আক্রমণে, না গরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতন ও মিজান গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। এলাকায় তারা গরু পাচারকারী হিসেবেই পরিচিত।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের ভারতের অংশে বাংলাদেশি দুই ব্যক্তি বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। তবে তাদের মৃতু্য বাঘের আক্রমণে, না গরু পাচারের সময় বিএসএফের গুলিতে হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।

উলেস্নখ্য, গত বুধবার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের রতন (৩৫), মিজানুর (৩৯) ও আবু মুছা (৪০) কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। বৃহস্পতিবার রাত আটটায় রতনের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবু মুসা জানায়, বিকালে বনের মধ্যে তালপট্টি এলাকায় খালে কাঁকড়া ধরার সময় রতন ও মিজানুরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।

এ সময় সে দৌড়ে বনের ভেতর উঁচু গাছের মগডালে উঠে আত্মরক্ষা করে। তবে গাছের ডালে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে নিচে এসে মিজানুর ও রতনকে আর খুঁজে পায়নি আবু মুছা। এরপর থেকে মুছার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। প্রথম থেকেই ঘটনাটি নিয়ে ধম্র্রজাল ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে