করোনার টিকাদান শুরু বুধবার

প্রথম টিকা নেবেন একজন নার্স

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। ওইদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন নার্সের (সেবিকা) শরীরে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিন ২৪ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণকালীন সময় কাজ করা সম্মুখযোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, চিকিৎসক এবং সাংবাদিকরা থাকবেন। শনিবার শ্যামলীর 'ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি জিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজি' (নিকডু) অর্থাৎ কিডনি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা প্রয়োগ করা হবে একজন স্বাস্থকর্মীর (নার্স) ওপর। আগামী বুধবার রাজধানির কুর্মিটোলা হাসপাতালে বহুল প্রতীক্ষিত এই টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে ২৭ জানুয়ারি বুধবার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৪ জনের দেহে টিকা প্রয়োগের পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালসহ মোট পাঁচটি হাসপাতালে ব্যাপকভিত্তিতে টিকাদান শুরু হবে। সেখানে ৪০০-৫০০ জনের ওপর করোনা টিকা প্রয়োগ করা হবে। এরপর তাদের কারও মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলে আগামী ৮ ফেব্রম্নয়ারি সারাদেশে গণ-টিকাদান শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে উপহার হিসেবে বৃহস্পতিবার সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা আসার পরই টিকাদান শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ সরকারিভাবেও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে। যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে শুরুতেই ফেব্রম্নয়ারির প্রথম ভাগে টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা হলেও টিকা আগে পাওয়ায় প্রয়োগের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে। ভারতে এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন দেখা না গেলেও সতর্কতা হিসেবে শুরুতে ৪০০-৫০০ জনকে দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখতে চায় সরকার। টিকা বিতরণের পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জাতীয়ভাবে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি করা খসড়া অনুযায়ী, টিকার সংরক্ষণ, বিতরণ হবে। প্রয়োজনে এতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। প্রথম মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নতুন পরিকল্পনায় প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পরের মাসে আবার ৬০ লাখ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ মেলানোর জন্য এভাবে দেওয়া হবে। পরের মাস থেকে আবার ৫০ লাখ করে দেওয়া হবে।