প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৮ জনের মৃতু্য হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ পুরুষ ও তিনজন নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬০২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩২ হাজার ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছ।
প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে করোনার সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টির্ যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ ২০০টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৮১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ হাজার ৮২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৭টি।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশ?মিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৫৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃতু্য ৮ হাজার ৪১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৯৫ জন পুরুষ (৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৯৪৬ জন (২৪ দশমিক শূন্য ২০ শতাংশ)।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের ম?ধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চ?লিস্নশোর্ধ্ব ৩ জন, পঞ্চা?শোর্ধ্ব ২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন র?য়ে?ছেন। ঢাকা বিভা?গে ৭ জন, চট্টগ্রা?মে ৮ জন, রাজশাহীতে ২ জন ও ময়মন?সিংহ বিভাগে ১ জন মারা যান।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্য খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য ছিল।
