শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিচ্ছিন্ন সংঘাত-সহিংসতা, নিহত ১

চট্টগ্রামে জয়ের পথে নৌকা

হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম
  ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
বুধবার সংঘর্ষ চলাকালে কাঠের টুকরা নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন একজন। ছবিটি চট্টগ্রাম নগরীর আমবাগান এলাকা থেকে তোলা

কিছু কেন্দ্রে সংঘাত-সংঘর্ষ, ইভিএম ভাঙচুর ও একজনের প্রাণহানি হলেও মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন (চসিক)। মেয়রপদে বিজয়ের পথে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বুধবার (রাত ১০টা) ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮৯টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম ১ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ২৬৪ ভোট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। তবে দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সকালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। ভোট গণনা শেষে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেশিয়াম থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান। প্রথমবারের মতো চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমের মাধ্যমে। গত বছরের ২৯ মার্চ চসিকের এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই নির্বাচন ১০ মাস পিছিয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ আনা হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার বিকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালে বিএনপির সব অপপ্রয়াস ভন্ডুল হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কর্তৃক ইভিএম মেশিন ভাঙা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল বিএনপি। বরাবরের মতো এই নির্বাচনেও বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এর দায়ভার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে, ২৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের দিন প্রাণহানি ঘটল। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রচারণার সময় সংঘর্ষে আরও দুইজন মারা যান। ফলে এই নির্বাচনে তিনজনের প্রাণহানি ঘটল। এ ছাড়া নির্বাচনের দিনগুলোতে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হয়ে আরও অন্তত অর্ধশত মানুষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্ত মারামারির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবারের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই সহিংসতার আশঙ্কা আগেই ছিল। এ কারণে ভোটের দিনের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে নেওয়া হয়েছিল বড় ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিটি এলাকায় ভোটারদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ভোটের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৯ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু এতেও সহিংসতা ঠেকানো যায়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত অবস্থা আগের নির্বাচনগুলোতে ছিল। ভোটের দিন মৃতু্যর ঘটনা আগে কবে ঘটেছিল, সে কথা মনে করতে পারেন না অনেকেই। বিশেষ করে ২০১০ ও ২০১৫ সালের দুটি নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটেনি। ২০০৫ সালের নির্বাচনে ভোটের আগের দিন নিহত হয়েছিলেন শ্রমিক লীগের এক কর্মী। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচন ঘিরে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারীর মৃতু্য বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ইউসেপ আমবাগান কেন্দ্রে সরকারদলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন আলো (২৮) নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি কুমিলস্না জেলার সুলতান মিয়ার ছেলে। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও আটজন। এ সময় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুলশি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেন বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত পাথরঘাটায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে দুটি ভোটকেন্দ্র্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকশ উত্তেজিত নারী-পুরুষ ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায়। তারা ইভিএম মেশিন, কেন্দ্রের দরজা-জানালা ও নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হলে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ও পাথরঘাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেখানে তিনজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থনে পুলক খাস্তগির এবং বিএনপির সমর্থনে মো. ইসমাইল কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী সকাল পৌনে ৯টার দিকে বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। তার বাড়ির পাশের কেন্দ্র এটি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতারা। রেজাউল করিম চৌধুরী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভোট সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপি বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি। বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সকাল ১০টার দিকে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে বিএড কলেজের প্রশাসনিক কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সবগুলো কেন্দ্র ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়েছে। এ সময় নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারপিট ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ আনেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসার সামনে ভোর থেকে সন্ত্রাসীরা দাঁড়িয়ে ছিল। ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর করা হয়েছে। নগরীর খুলশী, চানগাঁও, বাকলিয়ায় আমাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলিতে ৩ তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নগরীর আন্দরকিলস্না ওয়ার্ডে কদম মোবারক ইএমওয়াই উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিয়েছেন। ওই সময় তিনি বলেছেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছি। এখানে যা দেখলাম, জাল ভোট দেওয়ার বা জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। যার ভোট সেই একমাত্র দিতে পারবে। নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। এ সময় দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাত জন। আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী ও ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হলেও সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুটি ওয়ার্ডে ভোট হয়নি। এর মধ্যে ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুনুর রশীদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলায়মান সেলিম সম্প্রতি মারা গেছেন। এর ফলে ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন ২২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এর মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১৬৯ জন। বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হয়নি। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন ৫৭ জন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। মহিলা ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী আটক কয়েকটি কেন্দ্রে মারামারির ঘটনার পর ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালীকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর ১২-১৫ মিনিটের দিকে ইসমাইল বালীকে আটক করা হয়। উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানান, দুপুর ১২টার দিকে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার লাইনে হামলা, বিশৃঙ্খলা ও ভোটগ্রহণে ব্যবহৃত ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। লালখান বাজারে দুইপক্ষের মারামারি ১৪ নম্বর ওয়ার্ড লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল এবং মনোনয়নবঞ্চিত দিদারুল আলম মাসুমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সকাল ৯টার দিকে লালখান বাজার শহীদনগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাথর নিক্ষেপ ও লাঠি নিয়ে হামলায় জড়ায় দুইপক্ষ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামী লীগের ৩ কর্মী আহত হওয়ার দাবি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির হামলায় তিন কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা করেছে। বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল এই দাবি করেন। ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে বিএনপির জনভিত্তি নেই। তারা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালায়। কিন্তু ভোটের দিন মাঠে থাকে না। এটা তাদের কৌশল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে