দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ১৭ মৃতু্য শনাক্ত ৫২৮ জন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৭২ জনে দাঁড়াল। একই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫২৮ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৪ জন। প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টির্ যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ ২০০টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৯৩২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ হাজার ৭২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট ৩৬ লাখ ৫০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে ৫০৯ জন সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গত একদিনে করোনায় মৃতদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৭২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১১৫ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৫৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ২৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। মৃতদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৯২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৮৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৭ জন খুলনা বিভাগের, ২৪২ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।