লিঙ্গবৈষম্য প্রতিরোধে এশিয়ার দ্বিতীয় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
লিঙ্গবৈষম্য দূর করায় কোন্ দেশ কতটা এগিয়ে আর কারা কত পিছিয়ে, তা প্রতিবছরই জানিয়ে আসছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। সংস্থাটির সবের্শষ ইনডেক্সে এশিয়ার সেরা ১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি করে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে এবার ৪৭তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এক বছরে লিঙ্গবৈষম্য শতকরা ৭২ ভাগ কমিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ফিলিপাইন : এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ফিলিপাইনই বিশ্বের সব দেশের তালিকায় সেরা দশে স্থান পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এশিয়ার সেরা দশের সবোর্চ্চ স্থানটিও তাদের। সাবির্কভাবে বাংলাদেশ যেখানে শতকরা ৭২ ভাগ লিঙ্গবৈষম্য দূর করেছে, সেখানে ফিলিপাইন করেছে শতকরা ৭৯ ভাগ। শিক্ষাক্ষেত্রে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ব্যবধান শূন্যে নামিয়ে এনেছে তারা। বাংলাদেশ : গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি করে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে এবার ৪৭তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এক বছরে লিঙ্গবৈষম্য শতকরা ৭২ ভাগ কমিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশটি। কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত উন্নতি না হলেও আইনসভায়, চাকরিক্ষেত্রের উচ্চপদ এবং ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূণর্ দায়িত্বে এই এক বছরে বাংলাদেশ চোখে পড়ার মতো উন্নতি সাধন করেছে বলে মনে করে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। মঙ্গোলিয়া : লিঙ্গবৈষম্য দূর করায় উন্নতি দেখিয়ে সারা বিশ্বের মধ্যে ৫৩তম স্থান পেয়েছে এশিয়ার এই দেশ। তবে এশিয়ার সেরা দশে তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মঙ্গোলিয়ার উন্নতিও প্রশংসনীয়, তবে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম বলছে, বাংলাদেশের উন্নতি সেই তুলনায় অনেক বেশি। লাওস : আফ্রিকার বাইরে একমাত্র দেশ লাওস, যারা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কায়িক শ্রমনিভর্র কাজে বেতনবৈষম্য দূর করেছে, নারীর অংশগ্রহণও বাড়িয়েছে। তবে নিরক্ষরতা দূরীকরণে সাম্প্রতিক সময় কিছুটা অবনতির ফলে অনেক ক্ষেত্রে একই কাজে নারী-পুরুষের বেতনবৈষম্য কিছুটা বেড়েছে। সিঙ্গাপুর : অথর্নীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বেড়েছে। কায়িক শ্রমনিভর্র কাজেও নারীরা এগিয়ে আসছেন আগের চেয়ে বেশি হারে। স্বাস্থ্য খাতেও বৈষম্য দূর করে প্রশংসা কুড়িয়েছে সিঙ্গাপুর। ভিয়েতনাম : সাম্প্রতিক সময় মন্ত্রিত্বের মতো দায়িত্বে নারীর সুযোগ না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে দিয়েছে ভিয়েতনাম। এরপরও অনেক চাকরিতে বেতনবৈষম্য কমিয়ে এবং শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুবাদে এশিয়ার সেরা ১০ দেশের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে তারা। থাইল্যান্ড : মন্ত্রিত্বের মতো গুরুত্বপূণর্ দায়িত্বও নারীরা এখন বেশি পাচ্ছে বলে দেশটির প্রশংসা করেছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। এ ছাড়া প্রযুক্তিনিভর্র কাজে এবং অন্য অনেক পেশায় নারী-পুরুষের বেতনবৈষম্য দূর করেছে থাইল্যান্ড। এ কারণেই তাদের সপ্তম স্থানে রাখা হয়েছে। মিয়ানমার : ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরামের ইনডেক্সে নতুন সংযোজন মিয়ানমার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রোহিঙ্গা নিযার্তনের জন্য বেশি আলোচিত-সমালোচিত দেশটি মাধ্যমিক ও টারশিয়ারি পযাের্য়র শিক্ষায় নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে এনেছে। তবে সংসদে এবং চাকরিক্ষেত্রে উচ্চপদে নারীর সুযোগ এখনো কম বলে মিয়ানমারের সমালোচনাও করেছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। ইন্দোনেশিয়া : মূলত অথর্নীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সুযোগ-সুবিধা পযের্বক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেই ‘গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স’ প্রকাশ করে আসছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। এসব বিবেচনায় এশিয়ার সেরা ১০ দেশের মধ্যে নবম অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সাম্প্রতিক উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দেশটি বেতনবৈষম্য কমানো, রাজনীতিতে সুযোগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। কম্বোডিয়া : ২০০৬ সাল থেকে ‘গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স’ প্রকাশ করে আসছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। সাম্প্রতিক প্রকাশিত তাদের সবের্শষ ইনডেক্সে এশিয়ার সেরা ১০টি দেশের মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া। নারীর ক্ষমতায়নে দেশটির সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছে ওয়াল্ডর্ ইকোনমিক ফোরাম। বলা হয়েছে, চাকরিতে উচ্চপদে, ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষকতায় নারীর অংশগ্রহণ যথেষ্ট বেড়েছে।