শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবস ঘোষণা

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঐহিহাসিক ৭ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে এখন থেকে ৭ মার্চ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনে ওড়ানো হবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। আগামী ৭ মার্চ প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালন করা হবে। এই দিবসে সাধারণ ছুটি থাকবে না।

'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২' সংশোধন করে ৭ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারির পর সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেওয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেওয়া ভাষণের

দিনটিকে 'ঐতিহাসিক ৭ মার্চ হিসেবে ঘোষণা' এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন পালন সংক্রান্ত পরিপত্রে 'ক' শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দিবসটি উদযাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত এবং দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চারণের লক্ষ্যে এসব কর্মকান্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও সংযুক্ত করতে হবে বলে পরিপত্রে উলেস্নখ করা হয়েছে।

পতাকা বিধিমালার ৪(১) বিধিতে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনসু্যলার পোস্টগুলোয় নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে- মহানবীর জন্মদিবস (ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোনো দিবস। বিধিমালা সংশোধন করে এখন সেখানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যুক্ত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে