বিশ্বে করোনা শনাক্ত রোগী ১১ কোটি ছাড়াল মৃতু্য ২৪ লাখ ৩২ হাজার পার

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশে দেশে বিধিনিষেধ জারি এবং টিকাদান কার্যক্রজোরেশোরে শুরু করার পরেও বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে বুধবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি এক লাখ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৪ লাখ ৩২ হাজার আর সুস্থ হয়েছে আট কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স জরিপ সংস্থা ও গণমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃতু্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে পর্যন্ত মারা গেছে চার লাখ ৯৯ হাজার ৯৯১ জন। এছাড়া বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও দেশটিতে। পর্যন্ত সেখানে দুই কোটি ৮৩ লাখ ৮১ হাজার ২২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এক কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪১৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতু্য বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃতু্য বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৯ লাখ ২১ হাজার ৯৮১ জন। এদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার ৯৮৩ জনের আর সুস্থ হয়েছেন ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত মৃতু্য বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ১০৬ জন। এদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৯ জনের আর সুস্থ হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ ৪২ হাজার ৯০৩ জন। আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৩ জন, মারা গেছে ৮০ হাজার ৯৭৯ জন আর সুস্থ হয়েছে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৩ জন। পঞ্চস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ১৮ হাজার ১৯৫ জন আর সুস্থ হয়েছে ২২ লাখ ৩১ হাজার ১৯৯ জন। এদিকে, আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবও জার্মানি দশস্থানে আছে। এছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রম্নত বাড়ছে। এরই মধ্যে করোনার একাধিক টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে। মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য। লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে। এদিকে, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকের সময়কার মূল তথ্যগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) তদন্ত দলকে সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। তথ্যগুলো বিস্তারিত না দিয়ে সারমর্ম আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিভাবে করোনা মহামারির সূচনা হয়েছিল, এর উৎস কী, তা জানার প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, জরুরি ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের বিষয়ে সুপারিশ করার কয়েক দিন পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার এসকেবায়ো এবং ভারতের সিরাইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।