দেশেই যুদ্ধবিমান তৈরির আশা প্রধানমন্ত্রীর

ভ্যাকসিন কিনতে ৯৪ কোটি ডলার দেবে এডিবি

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে যে, বাংলাদেশেই আমরা আমাদের যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারব। কাজেই এর ওপর গবেষণা এবং আমাদের আকাশসীমা রক্ষা আমরা নিজেরাই যেন করতে পারি, সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যশোরের বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে অনুষ্ঠিত বিমানবাহিনীর ১১ এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি। এ সময় বিমানবাহিনীর প্রধান এবং বিমান ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মু. কামরুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ১১ এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দেওয়া প্রতিরক্ষা নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করার জন্য, আধুনিক করার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ আমরা প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীতে মিগ-২৯সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান, সর্বাধুনিক পরিবহণ বিমান, ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার ডিফেন্সর্ যাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং নতুন নতুন ঘাঁটি, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বিমানবাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এই পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর সব সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। শেখ হাসিনা বলেন, কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং দেশসেবার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেয়েছেন, তার মর্যাদা, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ও আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যখন দায়িত্ব পালন করেন, আমি মনে করি আপনারা সব সময় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন। যেন বাংলাদেশের মানমর্যাদা সবসময় বৃদ্ধি পায়। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। ভ্যাকসিন কিনতে ৯৪ কোটি ডলার দেবে এডিবি : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৯৪০ মিলিয়ন বা ৯৪ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে মঙ্গলবার এ আশ্বাস দেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। গণভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের সাক্ষাতের বিষয়ে বিস্তারিত জানান। সাক্ষাতে করোনা মহামারি দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন মনমোহন প্রকাশ। এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সফলভাবে করোনার টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এডিবির প্রতিনিধি বলেন, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থিক কর্মকান্ড খুলে দেওয়ায় জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। মনমোহন প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীকে 'এশিয়া'স জার্নি টু প্রসপারিটি : পলিসি, মার্কেট অ্যান্ড টেকনোলজি ওভার ফিফটি ইয়ার্স' শীর্ষক এশীয় উনয়ন ব্যাংক প্রকাশিত বইটি উপহার দেন। এছাড়া 'সাউথইস্ট বাংলাদেশ ইকনোমিক করিডোর কম্প্রেহেন্সিভ ডেভেলপমেন্ট পস্ন্যান'-এর তিনটি ভলিয়ম প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।