সংবাদ সম্মেলনের্ যাব

২১ আগস্ট মঞ্চে গ্রেনেড ছুড়েন জঙ্গি ইকবাল

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইকবাল হোসেনকে মঙ্গলবার রাজধানীর ডিয়াবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করের্ যাব -যাযাদি
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব।র্ যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল বলেন, মুফতি হান্নানের নির্দেশে ইকবাল মঞ্চের দিকে গ্রেনেড ছুড়েছিলেন। র্ যাব মহাপরিচালক বলেন, সোমবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর ডিয়াবাড়ী থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সুযোগ এখনো পাননি তারা। ইকবাল ২০০৮ সালে মালয়েশিয়া পালিয়ে যান। গত বছরের শেষ দিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত হলে মালয়েশিয়া সরকার তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠায়। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ওর্ যাবের যৌথ প্রচেষ্টায় তিনি গ্রেপ্তার হন। ইকবালর্ যাবকে জানান, তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তার বাড়ি ঝিনাইদহে। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে কেসি কলেজ, ঝিনাইদহে ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের নির্বাচিত শ্রেণি প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ছিলেন। দেশে ফিরে এসে তিনি আইএসডি ফোনসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত হন। এ সময় তিনি সর্বহারা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। র্ যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুন আরও বলেন, ২০০১ সালে তার চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আসে বলে ইকবাল জানান এবং তিনি হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হন। মুফতি হান্নানের সংস্পর্শে তিনি আসেন ২০০৩ সালে। তখন থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। মুফতি হান্নান ও হুজি-বির শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতার সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন গোপন বৈঠকেও অংশ নেন। মুফতি হান্নানের নির্দেশেই তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন এবং মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়েন। ঘটনার পর থেকে জঙ্গি ইকবালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় বলে জানায়র্ যাব। তিনি ঝিনাইদহ, গাজীপুর ও সাভারে নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশাচালকের ছদ্মবেশে দিন কাটান। ২০০৮ সালে দেশ ছেড়ে পালান। সংবাদ সম্মেলনের্ যাব মহাপরিচালক জানান, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেন আদালত। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায়র্ যাব মুফতি হান্নান, তার ভাই মুহিবুলস্নাহ ওরফে মফিজ ওরফে অভিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তা ছাড়া ২০০৭ সালে ১৬টি আর্জেস গ্রেনেডও উদ্ধার করে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল কী করে দেশ ছাড়লেন, তা জানতে চাইলের্ যাবের মহাপরিচালক বলেন, ইকবাল যে সময় দেশ ছাড়েন, সে সময় হাতে লেখা পাসপোর্টের চল ছিল। তিনি নামও পরিবর্তন করেন অন্তত দুবার। তবে তিনি কীভাবে দেশ ছেড়েছেন এবং কীভাবে ফিরেছেন, সে সম্পর্কে খোঁজখবর করা হচ্ছে। ইকবাল 'সমমনা'দের সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেন। তবে সমমনা কারা, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি মহাপরিচালক।