শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সরকার উল্টে যেতে পারে -ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সরকার উল্টে যেতে পারে। এই সরকার একের পর এক ভুল করেই যাচ্ছে। এই ভুলের জন্য জাতির কি যে অবস্থা হবে বলা মুশকিল। আজ শহরের সবকিছু খোলা, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু কারণটা কী? ছাত্ররা জনগণের পক্ষে কথা বলার লোক। এখন জনগণকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই সপ্তাহেই স্কুল, কলেজ খুলে দিতে হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) উদ্যোগের স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা ঘোষণা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, এই নেতাকে আবিষ্কারের জন্য সরকারকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। তার মিথ্যা কথার জন্যও তাকে এই পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। এই মন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নাকী শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান তো এমপিই হন নাই। তাহলে কেমন করে সংসদে প্রস্তাব করলেন। সেটা তো করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, যাকে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে। তার কথা না বলে এভাবে তারা মিথ্যাচার করছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে স্বোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। সরকারি উদ্যোগে করোনোর টিকা প্রদান 'সরকারের শুভ বুদ্ধির পরিচয়' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য এই ট্রাস্ট্রি বলেন, প্রাইভেটে ভ্যাকসিনের বিষয়ে আপত্তি করেছিলাম, সেটাতে সরকারের একটু শুভ বুদ্ধি হয়েছে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির ইসু্য একটাই- খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাও ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। দেশবাসী অশান্তি ও কষ্টে থাকলে তাদের কিছু আসে যায় না। দুর্নীতি, অবিচার ও অনাচারে নিমজ্জিত দেশ। ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র বলেন, ১৯৭০ সালে যারা স্বাধীন পূর্ববাংলার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের নাম ইতিহাসে নেই। আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের ফেরি করে বেড়ান তারা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নাই। যখন মনে হয় যুদ্ধে আপনাদের দেখি নাই অথচ সব কৃতিত্বের দাবিদার তখন মনে বড় কষ্ট লাগে। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও এএসএম শামীমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অধ্যাপক মাহবুব উলস্নাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।