বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নথি দেখবেন হাইকোর্ট

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ছয় বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের নোটিশে সাড়া না দেওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। সিবিএ নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদককে তা দাখিল করতে বলে ৯ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফৌজিয়া আখতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ পরে বলেন, নির্দেশ অনুযায়ী দুদক আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সে অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রতিবেদনে নেই। তিনি আরও বলেন, 'সে কারণে সংশ্লিষ্ট তদন্তের নথি আদালতে দাখিলের আরজি জানালে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৭ সিবিএ নেতার বক্তব্য ও কমিশনের সিদ্ধান্তসহ পূর্ণাঙ্গ নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।' বিমানের ওই ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না, তা গত ২৮ জানুয়ারি জানতে চায় হাইকোর্ট। ওই ১৭ জন হলেন- বিমানের তখনকার সিবিএ সভাপতি মো. মসিকুর রহমান, সহসভাপতি আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মনতাসার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, অর্থ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক মো. হারুনর রশিদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল বারি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ফিরোজুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান, নারীবিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক গোলাম কায়সার আহেমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুল জব্বার ও মো. আবদুল আজিজ। নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুদক প্রতিবেদন দিলে তার ওপর শুনানি করে আদালত নথি তলব করে।