বিশ্বে মৃতু্য ছাড়াল ২৫ লাখ আক্রান্ত ১১ কোটি ৩২ লাখ

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনার উৎপত্তির পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে ২৫ লাখের বেশি মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ১০ কোটির ঘর। গণসচেতনতা, টিকা প্রয়োগের পরও মাসের পর মাস তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে করোনা। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা 'ওয়ার্ল্ডোমিটারস'র তথ্যমতে, ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে মৃতু্য হয়েছে ২৫ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষের। পাশাপাশি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে আট কোটি ৯০ লাখ রোগী। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শীর্ষ দশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, তুরস্ক এবং জার্মানি। এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃতু্য সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। আর কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই। করোনা সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৩। এর মধ্যে মারা গেছে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার ৩৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ৩২৯ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৩২। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৭৪২ জন। দেশটিতে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ৪৩৩ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি তিন লাখ ২৬ হাজারের বেশি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৭৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৮ জন। রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৯০২। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৪ হাজার ৪৩০ জন। দেশটিতে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৭ লাখ ৫১ হাজার ৫৬২ জন। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ২১ হাজার ৭৪৭ জন। দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১০। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৫ হাজার ৩২১ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ জন। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৬৪৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৮ হাজার ৪৬৮ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৬ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৯৬ হাজার ৬৬৬ জন। দেশটিতে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৫ জন। তুরস্কে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৪। এর মধ্যে মারা গেছে ২৮ হাজার ২৮৫ এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৯৩ জন। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৯ হাজার ৬১০ জন। পাশাপাশি দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২২ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের এদিকে, করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রামক ব্রিটিশ ভ্যারিয়ান্ট (ধরন) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আরেকটি নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী বসন্ত নাগাদ নতুন এ ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা। 'বি.১.১.৭' ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাসটির ফলে যুক্তরাজ্যে নতুন করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সিডিসি জানিয়েছে, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যে এক হাজার ৮৮০ জনের বেশি মানুষের শরীরে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ট্রেভর বেডফোর্ড বলেন, 'শুধু সিকু্যয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই এই ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে।' ট্রেভর বেডফোর্ড বলেন, 'বসন্তে সংক্রমণ বাড়বে। এপ্রিল বা মে নাগাদ সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে আমি এখনো মনে করি, গ্রীষ্মে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং তখন খুব কমই সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে। উলেস্নখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)।